প্রতিবেদন : রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে সিকিমে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াল ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সবরকমের সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাংলার সরকার যেমন দুর্গতদের জন্য কাজ করছে, তেমনই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের অধীন ইএমআরআই গ্রিন হেলথ সার্ভিসের ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) দুর্গতদের সেবায় কাজ করছে রাজ্য সরকারের নির্দেশে। সিকিম সংলগ্ন কালিম্পং, কার্শিয়াং অঞ্চলে তিস্তা নদীর প্লাবনে যে জনবসতি প্লাবিত হয়েছে সেখানে তাদের একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স জলমগ্ন এলাকা থেকে আহত, অসুস্থ, সাধারণ মানুষদের উদ্ধার করে রিলিফ ক্যাম্পে পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রয়োজনে রিলিফ ক্যাম্প থেকে আশঙ্কাজনকদের হাসপাতালেও নিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কয়েকশো মানুষকে উদ্ধার করে তাঁদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন এই ১০২ অ্যাম্বুল্যান্সের চালক, অ্যাটেনডেন্ড ও তাদের পরিচালক কর্মী ও কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের অধীনে গর্ভবতী মহিলা ও এক বছর পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি এই অ্যাম্বুল্যান্স করমণ্ডল রেল দুর্ঘটনার সময়ও অতি দ্রুততায় মানুষের সেবা করেছে। এছাড়াও যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা মানুষকে পরিষেবা দিয়ে চলেছে। বম্ব স্কোয়াডের মর্টার বা আধুনিক সামরিক দাহ্য পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করার সময় দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে এই অ্যাম্বুল্যান্সকে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন- জাগোবাংলা উৎসব সংখ্যা প্রকাশ, জয়ী ব্যান্ডের গানে মাতলো মঞ্চ