প্রতিবেদন : গোয়ায় তৃণমূলের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে সেখানকার সরকার। তাও যেখানে অনুমতি ছিল। এই বিষয় নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশের পর এবার গোয়াৎ তৃণমূলকে বাধা বিজেপি সরকারের। এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মমতা। সোমবার, শিলিগুড়িতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এভাবে আমাকে আটকানো যাবে না। আমি স্ট্রিট ফাইটার। রাস্তায় লড়াই করব। প্রয়োজনে চায়ের দোকানে বসে লড়াই করব।”
জাতীয়স্তরে দলের গুরুত্ব বাড়াছে তৃণমূল। ত্রিপুরার পরে গোয়াতেও সংগঠন বাড়াতে চাইছে জোড়া ফুল শিবির। সেই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই দ্বীপরাজ্যে পৌঁছেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রী।
আরও পড়ুন : ৫০ কোটির প্রকল্প উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
২৮ অক্টোবর যাওয়ার কথা তৃণমূল সুপ্রিমোর। সোমবার, ছিল ‘পিপলস চার্জশিট’ প্রকাশের অনুষ্ঠান। কিন্তু সেই কর্মসূচির অনুমতি দিল না গোয়ার সরকার। কী কারণে অনুমতি বাতিল হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি রাজ্য প্রশাসন।
এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। বলেন, গোয়ায় অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছে না বিজেপি। কথা বললেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। “কিন্তু এভাবে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না”। BJP শাসিত রাজ্যগুলিতে তৃণমূলকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে মমতা বলেন, “অসম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড সব জায়গায় আমাদের আটকানো হচ্ছে। গোয়াতেও এদিন আমাদের আটকানো হয়েছে।” এরপরই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমরা রাস্তায়, চায়ের দোকানে বসে মিটিং করব। প্রতিটি চায়ের দোকানে তৃণমূলের কর্মীরা ছড়িয়ে পড়বে। আমরা সব জায়গায় মিটিং করতে জানি। আমাদের দল রাস্তা থেকেই উঠে এসেছে।”
গত মাসেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহ ফ্যালেরিও। তারপরই গোয়ায় দলীয় সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল।