প্রতিবেদন : নোংরা, ন্যক্কারজনক, ভয়াবহ। প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতে পিটিয়ে মারা হল বাংলার দুই শ্রমিককে। অভিযোগ কী? না, এই দু’জন নাকি ১০০ গ্রাম রুপো চুরি করেছে। অভিযোগ প্রমাণের তর সয়নি। দল বেঁধে বাংলার দুই শ্রমিককে পিটিয়ে মেরে ফেলল মোদির রাজ্যের মানুষ। কী আশ্চর্য, এই ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে মাত্র। বাংলা বিজেপির দলবদলু থেকে ট্রেনি সভাপতির সৎসাহস থাকলে গুজরাত সরকারের কাছে জবাব চাইবেন। ঘটনার কথা বৃহস্পতিবারই জানতে পারেন কালনায় দুই পরিবারের সদস্যরা। গুজরাতে পৌঁছেছেন পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন-বস্ত্রবিতরণ দিয়ে শুরু অভিষেকের একগুচ্ছ কর্মসূচি
ঘটনাস্থল গুজরাতের রাজকোটের ভাবনগরের একটি কারখানা, এমবিএস অর্নামেন্টস। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। বাংলার শ্রমিক রাহুল শেখ (২৫) ওই কারখানায় নাইট শিফট সেরে বেরোচ্ছিলেন। কারখানার সিকিউরিটি গার্ড পুষ্পরাজ রাহুলকে আটকায়। জানায় সে ১০০ গ্রাম রুপো চুরি করেছে। জেরায় রাহুল নাকি স্বীকার করে এবং জানায় সে রুপো বন্ধু মিনু শেখের(২৬) কাছে রেখেছে। মিনু কারখানায় কাজ করত না। তাকে ডেকে আনা হয় কারখানার মালিকের নির্দেশে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় তার উপর হামলা। ১৩-১৪ জন মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার দুই শ্রমিকের উপর। রড, লাঠি দিয়ে মারধর শুরু। মারধরের পর অর্ধমৃত অবস্থায় দু’জনকে নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে ফেলে চাবি দিয়ে চলে যায়। পরের শিফটে নিরাপত্তারক্ষীরা এসে ঘর খুলতেই দেখে দু’জন সাড়া দিচ্ছে না। অ্যাম্বুল্যান্স আনা হয়। প্যারামেডিক্যাল স্টাফ এসে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
দিন দুয়েক আগে কারখানায় নাকি তিন কেজি রুপো চুরি যায়। রাহুলের কাছে নাকি ১০০ গ্রাম মতো পাওয়া যায়। তাকে কাজ থেকে সরিয়ে দিয়ে তার উপর নজরদারি শুরু করে কারখানার মালিক। ঘটনার দিন দশেক আগে রাহুলকে ফের কাজে নেওয়া হয়। তারপরেই এই ঘটনা।
ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাজে বিরোধীরা বিস্মিত। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের পর ফের একই ধরনের ঘটনায় মুখোশ খুলে গিয়েছে সরকারের। গুরুত্বপূর্ণ হল, বৃহস্পতিবার সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও গুজরাত সরকার কাউকে গ্রেফতার করেনি। বাংলার নির্লজ্জ ‘আই অ্যাম দ্য অপজিশন লিডার’ নেতা পারলে জবাব দেবেন।