প্রতিবেদন : উৎসবমুখর কলকাতায় আজ, সোমবার দেখা মিলবে বিশ্ববরেণ্য ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার রোনাল্ডিনহোর। আজ দুপুরেই তিনি কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাবেন। দেখা হবে। কথা হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেবেন ব্রাজিল দলের জার্সি। ফুটবল পাগল বাংলায় ব্রাজিল সুপারস্টারকে স্বাগত জানাতে তৈরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাংলার কৃষ্টি- সংস্কৃতি সম্বলিত উপহার পাবেন রোনাল্ডিনহোও।
আরও পড়ুন-গুজরাতে পিটিয়ে খুন বাংলার দুই শ্রমিককে, গ্রেফতার শূন্য
ইতিমধ্যেই রবিবার মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজোতেও গিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের এই সুপারস্টার। আগামিকাল, মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবারে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশ নেবেন তিনি। যেখানে উপস্থিত থাকবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা টিমের অন্যতম অনুপ্রেরণা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আবহে রোনাল্ডিনহোর মতো বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সহ একাধিক পুজো মণ্ডপে যাবেন শুনে আপ্লুত বঙ্গবাসী। এবছর পুজোয় একে বাড়তি পাওনা হিসেবেই দেখছেন ফুটবল প্রিয় বাংলার নাগরিকরা। আজও কালীঘাট থেকেই দুপুর তিনটে থেকে কলকাতা-সহ জেলার একাধিক পুজো উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই রোনাল্ডিনহোর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ পর্ব রয়েছে। শনিবার গভীর রাতেই শহরে এসে পড়েছেন রোনাল্ডিনহো।
আরও পড়ুন-বস্ত্রবিতরণ দিয়ে শুরু অভিষেকের একগুচ্ছ কর্মসূচি
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সদ্যসমাপ্ত স্পেন সফরে গিয়ে লা লিগার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রাজ্য সরকার। তিনি নিজেও বার্সেলোনায় গিয়ে ফুটবল মিউজিয়াম এবং স্টেডিয়াম দেখে এসেছেন। এই আবহে রোনাল্ডিনহোর মতো মহাতারকা কলকাতায় আসছেন সেটা বাংলার ফুটবলের বিজ্ঞাপনের পক্ষে ভাল।
রবিবার ২৬টি পুজো উদ্বোধনের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর আফসোস, তিনি সশরীরে পুজো মণ্ডপে গিয়ে উদ্বোধন করতে পারছেন না। তবে সব উদ্যোক্তাদেরই ইউনেস্কোর বিদেশি অতিথিদের নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বারবার বলছেন, মণ্ডপ যেন ফাঁকা না থাকে। বিদেশি অতিথিরা এলে তাঁদের উলুধ্বনি দিয়ে, শাঁখ বাজিয়ে বরণ করতে হবে। তাঁদেরকে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে পুজো কমিটিগুলির প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, মহিলা সদস্যদের যেন একই ধরনের শাড়ি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্লাবের সদস্যদের পোশাক খুব পছন্দ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
উদ্বোধন করতে গিয়ে বারেবারেই স্মৃতির সরণিতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কালীঘাট মিলন সংঘের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, আমার বাবা একটা সময় এই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। স্বাধীনতার আগে পুজো শুরু হয়েছিল। কখনও উদ্বোধনে দাদাকে দেখে বলেছেন, তোর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে। ওখানে যাওয়ার পারমিশন কে দিল? ক্লাবের সদস্যদের অনুরোধ, দাদাকে বেশি চাপ না দিতে। মুখ্যমন্ত্রীকে মণ্ডপে না পেয়ে চোখে জল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের। তিনিও স্মৃতিচারণে মুখ্যমন্ত্রীর গান গাওয়ার কথা তুলে ধরেন। সব মিলিয়ে ক্লাবগুলির সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর যে নিবিড় যোগাযোগ, আত্মার যোগাযোগ, প্রাণের যোগাযোগ তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।