প্রতিবেদন : প্যালেস্টাইন-ইজরায়েল সংঘর্ষে হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এসেছে ফাতাহ গোষ্ঠীর নামও। একদিকে যখন প্যালেস্টাইনের উগ্রপন্থী সংগঠন হামাস, অন্যদিকে প্যালেস্টাইনেই রয়েছে আরেক নরমপন্থী সংগঠন ফাতাহ। এই দুই সংগঠন পরস্পরের বিরোধী শুধু নয়, তাদের কার্যপদ্ধতিও পৃথক। যদিও দুই গোষ্ঠীই প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা চায়। গত শতাব্দীর নয়ের দশকে একটি আধাসামরিক সংগঠন হিসেবে ফাতাহ গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইয়াসের আরাফত।
আরও পড়ুন-ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনে যুদ্ধের দামামা, কারা এই হামাস গোষ্ঠী? কী চায়?
পরে অবশ্য সশস্ত্র প্রতিরোধের পথ ছেড়ে দিয়েছিল গোষ্ঠীটি। ইজরায়েলের পাশাপাশি ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুসারে একটি সমান্তরাল প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘ যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা সমর্থন করেছিল আরাফতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ। ২০০৪ সালে আরাফতের মৃত্যুর পর প্যালেস্টাইনি রাজনীতিতে বড় শূন্যতার সৃষ্টি হয়। আর তারই সুযোগে শক্তি বাড়িয়েছিল আদ্যন্ত কট্টরপন্থী জঙ্গি সংগঠন হামাস। ২০০৭ সালে ফাতাহর সঙ্গে গৃহযুদ্ধের পর হামাস গোষ্ঠী গাজা ভূখণ্ডের দখল নেয়। তারপর থেকে গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে হামাসের দখলে, আর ওয়েস্টব্যাঙ্কের ক্ষমতা ধরে রেখেছে ফাতাহ। দুই গোষ্ঠীর আরও কিছু পার্থক্য রয়েছে।
আরও পড়ুন-মোদিজি, বড্ড খিদে পাচ্ছে যে!
হামাস খোলাখুলি নিজেদের ইসলামপন্থী হিসেবে পরিচয় দেয়। ফাতাহ কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে। আরাফত নিজেও ধর্মনিরপেক্ষ ও বামপন্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রেখে চলতেন। হামাস ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধের আহ্বান জানায়। অন্যদিকে ফাতাহ ইজরায়েলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজায় আগ্রহী। বর্তমানে ফাতাহ গোষ্ঠীর প্রধান মাহমুদ আব্বাসই প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট।