রাখি গড়াই, বাঁকুড়া: পুজো মানেই সাহিত্য। বহু পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হয় এই পুজোকে ঘিরেই। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের সিমলাপালও মেতে উঠল শারদ-সাহিত্য প্রকাশে। এক বেসরকারি ম্যারেজ হলে পলাশ সাহিত্য পরিবার তাদের পুজোসংখ্যা প্রকাশ করল। সঙ্গে সম্পাদক সলিল সিংহ মহাপাত্রের গল্পের বই ‘বোধনে বিসর্জন’। এই উপলক্ষে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ১২০ জন কবি-সাহিত্যিক ছিলেন। জঙ্গলমহলের এই প্রত্যন্ত এলাকায় সাহিত্য সম্মেলন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে জানালেন সাহিত্যিক দিলীপ রায় ও বঙ্কিম-পরম্পরা সোহার্দ্যর কর্ণধার তথা বঙ্কিমচন্দ্রের বংশধর জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-নোবেলজয়ী
সাহিত্যিক সুনীল চক্রবর্তী বলেন, বাঁকুড়া বহু কৃতী সাহিত্যিকের জন্ম দিয়েছে, সেদিক থেকে পিছিয়ে জঙ্গলমহল। আমি আশাবাদী, পলাশ সাহিত্য গোষ্ঠীর হাত ধরে এবার জঙ্গলমহল গৌরবোজ্জ্বল হয়ে উঠবে। নবতীপর সাহিত্যিক চিত্তরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, একজন কৃষক থেকে যে কোনও কারিগরের মধ্যে আছে কবিসত্তা। সাহিত্যিক-গবেষক রামপ্রসাদ বিশ্বাস সাহিত্যিকদের উপস্থিতি দেখে খুব খুসি। গবেষক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও পত্রিকা সভাপতি পুষ্প মণ্ডলের বক্তব্য, মানুষ আজও বই পড়েন। পলাশ সাহিত্য পত্রিকার পুজো সংখ্যা প্রকাশ করেন সম্পাদকের মা মাধবী সিংহ মহাপাত্র।
আরও পড়ুন-আহা! কী হবে এবার?
সাহিত্য সম্মেলনে ছিলেন ভজন দত্ত ,কবি মনোজ পাইন, ননীগোপাল মিশ্র,জয়শ্রী রায় মৈত্র, রঞ্জনা মণ্ডল, শিবানী চট্টোপাধ্যায়, মৌসুমী ভট্টাচার্য, ডাঃ বিশ্বনাথ মুহুরি, কাঞ্চনকুমার দে, আশিসকুমার মণ্ডল, সরোজ পাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক নীলাঞ্জন সন্নিগ্রাহী। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন ২৫ জন কবি। কবি পুষ্প মণ্ডলকে পত্রিকা গোষ্ঠী বিশেষ সম্মান স্মারক দেয়।