প্রতিবেদন : রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফের মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ফিরল রাজ্যে। সম্প্রতি জেলাশাসকদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করে ফের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেছিলেন, জেলায় জেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করতে হবে কনটেনমেন্ট জোন। আর মুখ্যসচিবের সেই নির্দেশেই দেখা গেল তৎপরতা। ওয়ার্ডভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হয়ে গেল জেলায় জেলায়। গোটা রাজ্যে মোট দেড়শোর ওপরে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এদিকে কলকাতা পুরসভাতেও এদিন বিশেষ বৈঠক হয় করোনা নিয়ে। চিহ্নিত করা হয় কয়েকটি বিশেষ এলাকা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরকে। সিদ্ধান্ত হয়, বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি চালানো হবে গণচেতনা অভিযান।
আরও পড়ুন : ত্রিপুরায় বিজেপির বর্বরতা চলছেই প্ররোচনা উপেক্ষা করে পথে তৃণমূল
কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই রাতে শুরু করেছে নাকা চেকিং। কোভিডবিধি অক্ষরে অক্ষরে কার্যকর করতে সচেষ্ট পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, জলপাইগুড়ি-সহ বিভিন্ন জেলায় কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করে ফেলা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫১টি, হাওড়ায় ১৪টি, জলপাইগুড়িতে ৯টি কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। হুগলিতেও ৭২টি কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হচ্ছে। এই সমস্ত এলাকায় কোভিড গ্রাফের দিকে নজর রেখেই কনটেনমেন্ট জোন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এখানকার বাসিন্দাদের বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ববিধি আবশ্যিক। কলকাতাতে এখনই কনটেনমেন্ট জোন করা হবে না বলে জানিয়েছেন পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, কলকাতায় প্রয়োজন অনুযায়ী মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হতে পারে ভবিষ্যতে।