মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম: সবুজ প্রকৃতির মাঝে নানান ধরনের বন্যপ্রাণী নিয়ে সাজানো উদ্যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি একসময়ের ‘মিনি-জু’ আজ চিতাবাঘ-সহ নানা ধরনের বন্যপ্রাণী নিয়ে বিশাল আয়তন জুড়ে দক্ষিণবঙ্গের গর্ব ‘জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক’। সবুজে ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ।
আরও পড়ুন-প্রচারের আড়ালে প্রশ্ন থাকছেই
রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৫ সালে মিনি চিড়িয়াখানার নাম পাল্টে উন্নয়নের কাজ শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই চিড়িয়াখানার নাম পাল্টে নতুন নামকরণ করেন— ‘জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক।’ শাল-সেগুনের জঙ্গলে মোড়া আগের ১৪ হেক্টর জায়গার পরিধিকে বাড়িয়ে ২৩ হেক্টর জায়গা জুড়ে পার্ক সাজিয়ে তোলার তোড়জোড় চলতে থাকে রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায়। ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথার মোড় থেকে প্রায় ৩ কিমি দূরে কদমকানন পেরিয়ে ধবনি বিট এলাকায় এর অবস্থান। শাল-সেগুনে মোড়া প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে বনবিভাগ ১৯৮০ সালে এখানে বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্র গড়ে তোলে। জঙ্গল এলাকা থেকে কোনও বন্যপ্রাণী ধরা পড়লে বা কোনও অসুস্থ বন্যপ্রাণী ধরা হলে এখানে এনে রাখা হত। এরপর ২০০৫ সালে জু-অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অনুমোদন নিয়ে বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রের নাম পাল্টে হয় ‘মিনি-জু’। সেই মিনি-জু আজ জঙ্গলমহল ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকেও আয়তনে বড় জঙ্গলঘেরা এই পার্কের ভিতরে পশুপাখি দেখার জন্য বিশেষ ভাবে সাজানো হয়েছে পার্কটিকে। পার্কের আকর্ষণ বাড়াতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় উত্তরবঙ্গ থেকে আনা হয়েছে চিতাবাঘ ‘সোহেল’কে। প্রায় এক বছর আগে ঝাড়গ্রামে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে চিতাবাঘের এনক্লোজারও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও আছে শতাধিক চিতল হরিণ, সম্বর হরিণ, স্বর্ণমৃগ, নীলগাই, ভালুক, নেকড়ে, হায়না, বনবিড়াল। ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের এক মুখপাত্র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্কের উন্নয়নের উদ্যোগ নেন। ’