সংবাদদাতা, কাটোয়া : কেউ সাজে দুর্গা। কেউ অসুর। কেউ আবার লক্ষ্মী। এভাবেই অনাথ শিশুদের ঠাকুর সাজিয়ে ‘শিব জ্ঞানে জীব সেবা’র বার্তা দেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। নাদনঘাটের দামোদরপাড়ায় নিজের গড়া অনাথ ও বৃদ্ধাবাসের উঠোনে দাঁড়ানো মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের দুর্গা-গণেশ-সরস্বতীরা হল বিপিন হাঁসদা, কাজল কিস্কু, দেবলীনা মাণ্ডিরা। বিজয়াদশমীর দিন পুজোমণ্ডপে মহামায়ার মৃন্ময়ী সংসারের পাশে কাজল, বিপিন, সুরলীনারা দুর্গা, অসুর, কার্তিক, গণেশ সেজে দাঁড়াবে। আর মানুষ-দেবতাদের আভূমিনত প্রণাম করে পুজো চড়াবেন মন্ত্রিমশাই।
আরও পড়ুন-একটুকরো বাংলা, শান্তির বার্তা ডায়মন্ড হারবারের থিম পুজোয়
বাপ-মাহারা, পরিবারছুট কাজল-শচিনদের মধ্যেই নিজের শৈশব ফিরে পান স্বপনবাবু। তাই এখন থেকেই স্বপনবাবুর তত্ত্বাবধানে রোজ নিয়ম করে ঠাকুর সাজার মহড়া শুরু হয়ে গিয়েছে বিপিন-দেবলীনাদের। মন্ত্রীর কথায়, ‘ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম, জীবনে কিছু করতে পারলে পুজোয় সমাজের অবহেলিত-উপেক্ষিতদের মুখে হাসি ফোটাব। আমার দুর্গা বলুন, গণেশ বলুন, লক্ষ্মী বলুন, সবই সমাজের ব্রাত্যজনেরা।’ কথা বলার ফাঁকেই অসুর, দুর্গা, কার্তিকবেশী শিশুদের অভিনয় নিখুঁত করার তালিম দিয়ে মন্ত্রী তাদের ভাল করে বুঝিয়ে দিলেন, লক্ষ্মী-গণেশ মা দুর্গার কোন পাশে দাঁড়াবে, অসুর বা সরস্বতীর হাতে কী কী থাকবে। দশমীর দিন মন্ত্রীর এই বিশেষ আয়োজন অর্থাৎ দামোদরপাড়ায় মানুষ-দেবতার এই পুজো দেখতে ভিড় জমাবেন এলাকার মানুষজন।