বেঙ্গালুরু: ডেভিড ওয়ার্নার ফর্মে থাকলে কী হয়, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন বাবর আজমরা! চলতি বিশ্বকাপে রান পাচ্ছিলেন না বাঁহাতি অস্ট্রেলীয় ওপেনার। কিন্তু শুক্রবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম সাক্ষী রইল ওয়ার্নারের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের। ১২৪ বলে ১৪টি চার ও ৯টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ১৬৩ রান করে আউট হলেন ওয়ার্নার। যা একদিনের বিশ্বকাপে তাঁর পঞ্চম সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে ২১ নম্বর ওয়ান ডে শতরান।
ওয়ার্নারকে দারুণ সঙ্গ দিলেন মিচেল মার্শ। তিনি করলেন ১০৮ বলে ১২১। শুক্রবার ছিল মার্শের জন্মদিন। জন্মদিনেই বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন তিনি। এদিন প্রথম উইকেটে ঝড়ের গতিতে ২৫৯ রান (২০৩ বলে) তুলে পাকিস্তানকে (Australia- Pakistan ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিলেন ওয়ার্নার-মার্শ জুটি। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। দুই অস্ট্রেলীয় ওপেনার এতটাই খুনে মেজাজে ব্যাট করছিলেন যে, মনে হচ্ছিল স্কোরবোর্ডে চারশোর বেশি রান উঠবে। কিন্তু মার্শ আউট হতেই ঘনঘন উইকেট পড়তে থাকে।
আরও পড়ুন- গুজরাত-সহ পাঁচ রাজ্যে পাঁচ কোটি জবকার্ডের তথ্য গায়েব
ওয়ার্নার-মার্শ জুটির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি খারাপ ফিল্ডিংও ডুবিয়েছে পাকিস্তানকে (Australia- Pakistan)। ওয়ার্নারের রান যখন ১০, তখন তাঁর সহজ ক্যাচ ফসকান ওসামা উমর। সেঞ্চুরি করার পর ফের ওয়ার্নারের ক্যাচ মিস করেন আবদুল্লা শফিক। পরে স্লিপে স্টিভ স্মিথের ক্যাচ ফেলে দেন বাবর। জেতার জন্য ৩৬৮ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম উইকেটে ১৩৪ রান তুলে ফেলেছিল পাকিস্তানও। কিন্তু আবদুল্লা শফিককে (৬১ বলে ৬৪) আউট করেন স্টোয়নিস। এরপর ইমাম উল হকও (৭১ বলে ৭০) স্টোয়নিসের শিকার হন। বাবর (১৮) এই ম্যাচেও ব্যর্থ। মহম্মদ রিজওয়ান (৪০ বলে ৪৬), সউদ শাকিল (৩১ বলে ৩০), ইফতিকার আহমেদরা (২০ বলে ২৬) কিছু রান করলেন ঠিকই, কিন্তু তাতে হারের ব্যবধান কমা ছাড়া আর কিছু হয়নি। অ্যাডাম জাম্পা ৪ উইকেট দখল করে পাক ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬২ রানের জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে প্যাট কামিন্সদের। অন্যদিকে, ক্রমশই তলিয়ে চলেছেন বাবররা।