প্রতিবেদন : গত ৭ অক্টোবর হামাসের (Hamas Attack) অতর্কিত হামলায় নিহত ১৪০০ ইজরায়েলি। তারপর থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনের মধ্যে। এবার জানা গেল, ভয়াবহ হামলার আগের এক ঘটনা। হামাস জঙ্গিদের নৃশংসতা বাড়ানোর মনস্তাত্ত্বিক কৌশল হিসাবে সাইকোঅ্যাকটিভ ড্রাগ ব্যবহার হয়েছে লাগামছাড়াভাবে। জেরুজালেম পোস্টের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েল ভূখণ্ডে অপারেশনের আগে জঙ্গিদের কৃত্রিম স্নায়ু উদ্দীপক ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছিল হামাস। যাতে কোনও পরিস্থিতিতেই স্বাভাবিক সংবেদনশীলতা ও মানসিক দুর্বলতা গ্রাস করতে না পারে হামাস যোদ্ধাদের।
আরও পড়ুন- আমেরিকার ভুল যেন ইজরায়েল না করে, সতর্কবার্তা বাইডেনের
রিপোর্টে প্রকাশ, ইজরায়েলে নিহত হামাস (Hamas Attack) জঙ্গিদের পোশাক থেকে উদ্ধার হয়েছে ক্যাপ্টাগন পিল, যা মূলত কৃত্রিম উদ্দীপক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই ড্রাগটি দরিদ্রদের কোকেন হিসাবে পরিচিত। এধরনের ড্রাগ ব্যবহারে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি লোপ পায়। এগুলি ব্যবহার করলে শরীরের উদ্দীপনা বাড়ে। খিদে ও ঘুমের অনুভূতি প্রায় থাকে না। সমস্ত সময়ে চূড়ান্ত সতর্ক থাকার শারীরিক সক্ষমতা তৈরি করতে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী অতীতেও বিভিন্ন সময় ক্যাপ্টাগন পিল ব্যবহার করেছে। স্নায়বিক অবসাদ ও মনঃসংযোগের অভাব জাতীয় সমস্যায় এই ড্রাগ ব্যবহার করা হয়, যা কার্যত নেশা তৈরি করে। আইএস জঙ্গিদের মধ্যে এই ড্রাগের ব্যবহার দেখা যায়। সিরিয়া এবং লেবাননে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সময় যোদ্ধারাই শুধু এই ড্রাগ ব্যবহার করেনি, যুদ্ধ চলাকালীন সাধারণ মানুষও মানসিক অবসাদ থেকে বাঁচতে এই ড্রাগ ব্যবহার করেছে। জেরুজালেম পোস্টের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরানের মদতপুষ্ট হেজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী এই ড্রাগ যুবসমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সক্রিয়। বছর দুয়েক আগে নিউইয়র্ক টাইমসের এক অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছিল, সিরিয়ার একনায়কতান্ত্রিক শাসক বাশার আসাদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই ড্রাগের সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন। যার বিপুল অপব্যবহার হয়ে চলেছে জঙ্গিগোষ্ঠী, সমাজের পিছিয়ে থাকা কমবয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে। কার্যত মাদক হিসাবেই যথেচ্ছভাবে এই ড্রাগ ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক দেশে।