প্রতিবেদন : উপনির্বাচনের প্রচারে শান্তিপুরে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে প্রচার মঞ্চ থেকে একসঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপিকে বাক্যবাণে বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার, শান্তিপুরের তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীর সমর্থনে সভা করেন অভিষেক। সেখানেই তিনি বলেন, বিজেপিকে আটকানোর ক্ষমতা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আছে। সর্বভারতীয় দল হলেও কংগ্রেস-সিপিআইএম চৈত্র সেলে তাদের দল বিজেপিকে বেচে দিয়েছে বলে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে আটকে রাখা যাবে না। ধমকে-চমকে তৃণমূলকে ভয় দেখানো যায় না।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০২৪-এ বিজেপিকে আটকানোর ক্ষমতা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বিজেপি যদি আরেকবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে সারা দেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে।
এদিন বাংলাদেশ সাম্প্রতিক হিংসার প্রসঙ্গ তুলেও গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে এখানে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শান্তিপুর ও দিনহাটায় প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির ২জন সাংসদ। ভোটে জিতেও রাজনৈতিক লালসার কারণে জনগণের রায়কে তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেন বলে অভিযোগ অভিষেকের। তিনি বলেন, “এবার এমন ভোট দেবেন, ৫০ বছর যেন এই রায় বিজেপি মনে রাখে।” ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হবেন বলে প্রত্যয়ী অভিষেক।
শান্তিপুরে না জিতলেও উন্নয়নের কাজ করেছে রাজ্য সরকার অভিষেক বলেন ভোটের সময় যারা বিজেপিকে রাস্তায় দেখা যায় না অথচ যেকোনো বিপদের সময় পাশে থাকে তৃণমূল। বলেন, সমালোকরাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুফল নিচ্ছেন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, বিজেপি কোভিডের থেকেও বাজে ভাইরাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন। ভাইরাস মুক্ত নদিয়া এবং ভাইরাস মুক্ত ভারত গড়তে ৩০ অক্টোবর তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।