প্রতিবেদন : নবরাত্রির উৎসবের মধ্যেই বড় দুর্ঘটনা ঘটল মোদিরাজ্য গুজরাতে। নবরাত্রি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গরবা নৃত্য পরিবেশনের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দশজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবারই নবরাত্রিতে গুজরাতের লোকনৃত্য গরবা পরিবেশন করেন বহু মানুষ। কিন্তু সরকারি স্তরে প্রচার ও উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতির অভাব এবং সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকার ফলে কী মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে এবারের দুর্ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। গুজরাতের একাধিক জায়গা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় গরবা নাচের সময় মৃত্যুর খবর এসেছে। ১৩ বছরের এক কিশোরী ও ১৭ বছরের এক কিশোরও মারা গিয়েছে গরবা নৃত্য চলাকালীন।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেনে ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ২০
প্রতিবছর নবরাত্রিতে গরবা অনুষ্ঠান হয় গুজরাতে। একসঙ্গে নির্দিষ্ট ছন্দে দীর্ঘক্ষণ ঘুরে ঘুরে নাচ করেন সকলে। এবছর গরবা অনুষ্ঠানে নাচতে নাচতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৭ বছরের কিশোর বীর শাহ। গুজরাতের খেড়া জেলার কপড়ভঞ্জ শহরে গরবা অনুষ্ঠান চলাকালীন মৃত্যু হয় তার। জানা গিয়েছে, নাচের সময় তার নাক দিয়ে রক্তপাত শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা জানান, দীর্ঘ নাচের ধকল নিতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ১৭ বছরের কিশোর। ছেলের এই মর্মান্তিক পরিণতির পর কিশোরের বাবা রিপাল শাহ কাঁদতে কাঁদতে হাত জোড় করে বলতে থাকেন, দয়া করে সকলে সাবধান হোন। কোনও বিরতি না নিয়ে এত দীর্ঘ সময় ধরে কেউ গরবা নাচবেন না। আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। আর কাউকে যেন এভাবে প্রাণ হারাতে না হয়।
আরও পড়ুন-দুর্গার সঙ্গে বনবিবির পুজো, সুন্দরবনের পুজো
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় মোদিরাজ্যে ৫০০টি অ্যাম্বুল্যান্স কল করা হয়েছে। প্রায় সবগুলিই গরবা নাচের সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা। চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, বিরতিহীনভাবে দীর্ঘ সময় ধরে গরবা নাচের ধকল শরীর নিতে পারছে না। ফলে হৃদরোগে মৃত্যু হচ্ছে। এই ধরনের অনুষ্ঠান করার সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত ছিল উদ্যোক্তাদের। এজন্য সচেতনতা ও প্রচার দরকার।