প্রতিবেদন : নতুন করে ফের গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালাল ইজরায়েল। এই হামলায় আল-সুহাদায় বহু ঘরবাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলের আক্রমণে ২৬৬ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশু। ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃত শিশুদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যত সময় যাবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-মোদিরাজ্যে বড় অঘটন, গরবা নাচতে গিয়ে হৃদরোগে মৃত ১০
সোমবার সকালে প্যালেস্টাইনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গাজার জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরের সামনে আল-সুহাদা এলাকায় একটি বসতবাড়ির উপর ইজরায়েলের বোমা এসে পড়ে। বাড়িটি গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশে যায়। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের মাটিতে হামাসের হামলার পর থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে ওই অঞ্চলে। প্রত্যাঘাত পর্বে গাজার হাসপাতালে ইজরায়েলের হামলায় কয়েকশো নিরীহ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় পারস্পরিক দোষারোপ চরমে। ইজরায়েল ও তার বন্ধু দেশগুলি হাসপাতালে হামলার দায় স্বীকার করেনি। যদিও ইজরায়েলের লাগাতার হামলায় এপর্যন্ত গাজার ৪ হাজার ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেনে ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ২০
অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইজরায়েলের দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার সামনে এল হামাসের রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের তত্ত্ব। হামাসের বিরুদ্ধে সায়ানাইড বোমা ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছে ইজরায়েল। একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ জানিয়েছেন, হামাস বাহিনী সংঘর্ষের সময় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছিল। ওই রাসায়নিক অস্ত্রগুলি আল কায়েদার তরফে সরবরাহ করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট।