প্রতিবেদন : গত ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু। তারপর থেকে হামলা ও পাল্টা প্রত্যাঘাত অব্যাহত। ইজরায়েলের আক্রমণে নিহত হয়েছেন গাজার ৫ হাজারের বেশি প্যালেস্তিনীয় নাগরিক। মর্মান্তিক ঘটনা হল, এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলি অবরোধে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে বিদ্যুতের জোগান অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। ফলে ফের একাধিক শিশুমৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষত ইনকিউবেটরে থাকা শিশু, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের বড় অংশের মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশের এই পুজোয় উঠে এল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবি, এক উঠোনেই মসজিদ ও মন্দির
জানা গিয়েছে, ইজরায়েল বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করায় জেনারেটরের সাহায্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা চালানো হচ্ছে। গাজার হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। হাসাপাতালের প্রসূতি বিভাগে এখন ৫৫টি শিশু রয়েছে। পাঁচ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে তাদের সকলেই হয়ত মারা যাবে। গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে এখন বৈদ্যুতিক ইনকিউবেটরে ১৩০টি সদ্যোজাত শিশু রয়েছে। মোট ১৩টি হাসপাতালে রয়েছে আরও অনেক নবজাতক।
আরও পড়ুন-মা যেতেই ছেলের পুজোর প্রস্তুতি শুরু
কিন্তু মজুত জ্বালানির সঞ্চয় ক্রমশ কমে আসার কারণে জেনারেটর কত দিন চালু রাখা যাবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি, ডিজেল কমে আসায় জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাবে, ফের বেঘোরে প্রাণ যেতে পারে একাধিক শিশুর। এভাবেই যুদ্ধের বলি নবাগত শৈশব।