প্রতিবেদন : এএফসি কাপে গ্রুপ পর্বে জয়ের হ্যাটট্রিক হল না মোহনবাগানের। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে দু’বার এগিয়ে থেকেও জয় হাতছাড়া করল জুয়ান ফেরান্দোর দল। ম্যাচ ২-২ গোলে অমীমাংসিত থাকল। টানা ১০ ম্যাচ জয়ের পর পয়েন্ট নষ্ট করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ‘ডি’ গ্রুপে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথে এগিয়ে থাকলেন দিমিত্রি পেত্রাতোসরা।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
পয়েন্ট হারানোর দিনে আনোয়ার আলির গুরুতর চোট চিন্তায় রাখল মোহনবাগানকে। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন জাতীয় দলের সেন্টার ব্যাক।
২৯ মিনিটে প্রথম গোল করে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ডান দিক থেকে বুমোসের অনবদ্য একটি মুভ থেকে গোলের লকগেট খুলে যায়। বক্সে ঢুকে বুমোস বল বাড়ান জেসন কামিন্সকে। অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপার পাস দেন দিমিত্রিকে। ডান পায়ের জোরাল মাটি ঘেঁষা শটে গোল করেন তিনি। মরশুমের এটি ষষ্ঠ গোল দিমিত্রির।
আরও পড়ুন-পুজো শেষে কলকাতা পুলিশ ও পুর আধিকারিকদের প্রশংসায় ভরালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
কলিঙ্গের গ্যালারিতে সবুজ-মেরুন উৎসবের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই গোলশোধ করে দেয় বসুন্ধরা। মোহনবাগান রক্ষণের ভুলে ৩৩ মিনিটে হেক্টর ইয়ুস্তেদের মাটি ধরিয়ে অসাধারণ গোল করেন বসুন্ধরার ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ডোরিলটন গোমেজ নাসিমেন্টো। তিনি ডোরি নামেই পরিচিত।
আরও পড়ুন-কুঁচোগজা, নিমকি, মিহিদানা, সীতাভোগ, সঙ্গে ঘুগনি
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা জমে ওঠে। ৫৪ মিনিটে দিমিত্রির পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আশিস রাই। কিন্তু ৭০ মিনিটে আশিসের ভুলেই বসুন্ধরা ম্যাচে ফেরে। রোবিনহোকে বক্সে ফাউল করেন মোহনবাগান ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোলশোধ করেন রোবিনহোই। ম্যাচের শেষ দিকে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন মোহনবাগান কোচকে।