সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় পুরুলিয়ায় যেসব এলাকায় চাষিরা ধান রোয়ার কাজ করতে পারেননি, তাঁদের শস্যবিমা যোজনা থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হল। রাজ্য জুড়েই এই কাজ শুরু হয়েছে। এই সহায়তাদানে যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি, সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল খেতমজদুর সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাতো। বলেন, এর ফলে জেলার লক্ষাধিক কৃষক চরম বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেন। তিনি জানান, পরপর দু’বছর এভাবে বিমার সুযোগ পেলেন জেলার কৃষকেরা।
আরও পড়ুন-পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব, পরিযায়ী শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা
সরকারি নিয়মে কোনও পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চাশ শতাংশের কম জমিতে রোয়ার কাজ হলে সেই পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকেরা জমির পরিমাণ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পান। তবে শর্ত হল, ওইসব কৃষকদের শস্যবিমা থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগ নিয়ে কৃষকদের বিমা করিয়ে দিয়েছেন। বিমার টাকাও কৃষককে দিতে হয়নি। দিয়েছে সরকার। যোগ্য কৃষকেরা সেই প্রকল্প থেকে ক্ষতিপূরণ পান। পুরুলিয়ার মোট দশটি ব্লকের ৪১টি পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকেরা এবার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। ব্লকগুলি হল কাশীপুর, মানবাজার ১ নং ও ২ নং, নিতুড়িয়া, সাঁতুড়ি, বরাবাজার, রঘুনাথপুর ১ নং, ঝালদা ১ নং, জয়পুর ও পুঞ্চা। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল খেতমজদুর সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাতো বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রশাসনের সহায়তায় গোটা জেলায় কৃষকদের বিমা করিয়েছিলাম। তার সুযোগ পাচ্ছেন কৃষকেরা। বিমার প্রিমিয়াম হিসাবে রাজ্য সরকারকে দিতে হয়েছে প্রায় ৮১ কোটি টাকা।