অনির্বাণ কর্মকার, বর্ধমান: রাস্তার মাস্টার থেকে ১৩০টি দেশের মধ্যে শীর্ষ দশ ফাইনালিস্টের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করে ফেলেছেন রাস্তার মাস্টার বলে খ্যাত আসানসোলের জামুড়িয়ার নন্ডি গ্রামের বাসিন্দা দীপনারায়ণ নায়ক। বর্তমানে দীপ জামুড়িয়ার ১ নম্বর সার্কেলের তিলকা মাঝি আদিবাসী ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। স্কুলের শিক্ষকতার পাশাপাশি দীপনারায়ণ এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের বা পিছিয়ে পড়া মানুষদের শিক্ষিত বা সাক্ষর করার লক্ষ্যে থ্রি জেনারেশন এডুকেশন শুরু করেছিলেন।
আরও পড়ুন-বিলে সম্মতি দিচ্ছেন না রাজ্যপালরা, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পাঞ্জাব ও তামিলনাড়ু সরকার
বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের নিয়ে পড়াশোনা শিখিয়ে তাদের দিয়ে তাদের মা-বাবা ও দাদু ঠাকুরদাদাকে ন্যূনতম সাক্ষর করানোর পাশাপাশি শিক্ষিত করিয়ে তোলার ভাবনা ছিল দীপের। মহামারী করোনা আবহে যেখানে অফিস-আদালত থেকে স্কুল-কলেজ সব ছিল বন্ধ, তখনও থেমে থাকেননি এই দীপনারায়ণ নায়ক। করোনা কালে করোনার নিয়ম মেনে ওই স্কুলের ছাদের তলা থেকে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি এলাকার ছেলেমেয়েদের রাস্তার ওপরে নিয়ে যান দীপ, তাদের নিয়ে চলে পঠনপাঠন।
আরও পড়ুন-মৃত্যুমিছিল, তবু গাজা নিয়ে হুঙ্কার জারি নেতানিয়াহুর, হামাসকে নাৎসি তোপ রাষ্ট্রসংঘে
তারপর থেকেই ‘রাস্তার মাস্টার’ নামে পরিচিতি পান এই দীপনারায়ণ। এমনকী দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টিযুক্ত খাবারেরও ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। অবশেষে গ্লোবাল টিচার প্রাইজ ২০২৩-এ ১৩০টি দেশ জুড়ে শীর্ষ দশ ফাইনালিস্টের তালিকায় তাঁর নাম মনোনীত হয়েছে। অভাবের সংসারে বড় হওয়ার পর বিদেশে ডাক পাওয়ায় খুশি দীপের স্ত্রী, মা-বাবা থেকে পড়শিরা সকলেই।