প্রতিবেদন : দিন পনেরোর মধ্যেই পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কালীপুজোর সময় বা তার পরেই রাজ্যের পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ অন্য রাজ্য থেকে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্য। কালোবাজারি বা ফাটকাবাজি প্রতিরোধে নজরদারি চলছে। বিশেষ অভিযান শুরু করছে টাস্কফোর্স। সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে সুফলবাংলা স্টলগুলিতে।
আরও পড়ুন-ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি চন্দননগরে
মহালয়ার আগে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭০ টাকা প্রতি কেজি। পুজোর সময় দাম কিছুটা আয়ত্তে আসলেও লক্ষ্মীপুজো মিটতেই ফের দাম বেড়েছে। সোমবার পেঁয়াজের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা। খরিফ মরশুমের পেঁয়াজ এখনও বাজারে আসেনি। পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজের চাহিদার ৩৩ শতাংশ মেটায় সুখ সাগর পেঁয়াজ। তাও এখনও রাজ্যের রাজ্যের কিষাণ মান্ডিতে পৌঁছায়নি। অন্যদিকে নাসিকের পেঁয়াজের যোগানে সংকট তৈরি হয়েছে। তাই কে বা কারা ফাটকাবাজি করে দাম বাড়াচ্ছে তা দেখতে কলকাতার বাজারে অভিযান শুরু করছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের টাস্ক ফোর্স। একই সঙ্গে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পরে পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমতে পারে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরাও।
আরও পড়ুন-দিল্লি-সহ ৫ রাজ্যকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, বায়ুদূষণের রিপোর্ট জমা দিতে হবে
রাজ্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল কুমার দের আশ্বাস, কালীপুজোর আগে কলকাতা ও জেলার খুচরো বাজারে কমতে পারে পেঁয়াজের দাম। রবি মরশুমে উৎপন্ন ও সংরক্ষিত পেঁয়াজই এখন বাজারে আসছে। তার মজুত ভাণ্ডার কমে গিয়েছে। ফলে সরবরাহে কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে ব্যবসায়ী মহলের বক্তব্য। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে বর্ষাকালে যে পেঁয়াজের চাষ হয়, তা এইসময় মাঠ থেকে বাজারে আসতে শুরু করে। কিন্তু এবার নতুন পেঁয়াজ আসতে দেরি হচ্ছে। সেগুলি বাজারে আসার পরই পেঁয়াজের দাম কমবে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।