চলতি বছরে পুজোকে ঘিরে ৭২ হাজার কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে এবং তিন লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রাথমিক সমীক্ষা রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর আশা, সমীক্ষার চূড়ান্ত ফলে এই পরিমাণ ৮০ থেকে ৮৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বিরোধীদের কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে যদি ৭২ হাজার কোটি টাকা আয় হয়, সেটা মডেল হওয়া উচিত।
গত বছর পুজোকে ঘিরে আর্থিক কর্মকাণ্ডের পরিমাণ ৩৮ হাজার কোটি টাকা ছিল বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বলেন, “পুজো খুব শান্তিতে, সকলের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে অতিবাহিত হয়েছে। এবার পুজো যে উচ্চতায় উঠেছে, আগামীদিনে আমরা আরও ভালোভাবে করব। ব্রিটিশ কাউন্সিল একটা রিসার্চ করেছে। আগেরবারে বলেছিল ৩৮ হাজার কোটি টাকা বিজনেস করেছে, এবার বলেছে অফিসিয়ালি ৭২ হাজার কোটি টাকা। তবে আমার ধারণা ৮০-৮৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। টাকাটা মানুষের হাতেই যাবে। প্রায় ৩ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। গরিব মানুষগুলো, যাঁরা লোকশিল্পী, তাঁদের কাছে বড় পাওনা। বাংলাকে নানাভাবে তাঁরা তুলে ধরেছেন।“ পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে রাজ্যকে নিশানা করে বিরোধীরা। তার পাল্টা মমতা এদিন বলেন, ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে যদি ৭২ হাজার কোটি টাকা আয় হয়, সেটা মডেল হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বকেয়া ফেরানোর দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর, ১৬ নভেম্বর বৈঠক
শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে পুজো এবং কার্নিভালের আয়োজনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আপামর বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য তিনি লোকশিল্পীদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। বলেন, “কোনওরকম কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি, মা রক্ষা করেছেন। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান সকলে মিলে আমরা পুজো করেছি।“ একইসঙ্গে পুজো কার্নিভ্যালেরও প্রশংসা করন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “শুধু কলকাতায় নয়, কলকাতায় তো ১০০টা পুজো প্যান্ডেল দারুণভাবে শো করেছে। জেলায় জেলায়ও কার্নিভ্যাল হয়েছে। জেলায় মহকুমা মিলিয়ে যে পরিমাণ কার্নিভ্যাল হয়েছে, তার সংখ্যা যোগ করা হলে, পৃথিবীর যে কোনও কার্নিভ্যালকে ছাড়িয়ে যাবে।“