সংবাদদাতা, বারাসত : তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বৃহস্পতিবার বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বিজেপিকে তিনি নঞর্থক দল বলে আক্রমণ করার পাশাপাশি বিজেপি নেতা দলবদলু গদ্দারকেও এক হাত নিলেন। তিনি বলেন, বিজেপি দেশের কোনও উন্নয়ন করছে না। অসহায়, দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। উপরন্তু দেশের সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে। বেসরকারীকরণ করছে। যেখানেই বিরোধীরা সরব হচ্ছে সেখানেই বিরোধীকণ্ঠ রোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লাগিয়ে দিচ্ছে। সীমাহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আসলে বিজেপি দলটা একটা নঞর্থক দল। এরা পজিটিভ কিছু করে না, পজিটিভ কিছু ভাবতেও পারে না।
আরও পড়ুন-শামি-আগুনে লঙ্কা ছারখার, চারে ভারত
বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রামের দলীয় কর্যালয়ে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে এসে এই ভাষাতেই গেরুয়া শিবিরকে তোপ দাগেন বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বারাসত শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরুণ ভৌমিক, দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান বিদেশ, বারাসত সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ নন্দী, দেবাশিস মিত্র, সোহম পাল প্রমুখ। বারাসতের সাংসদ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এক ঘৃণ্য রাজনীতিতে নেমেছেন। কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তৃণমূল নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছেন। আমি তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার কাজ কেন্দ্রের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। বাংলা পুরস্কৃতও হচ্ছে। অথচ সেই কথা বিরোধীরা কখনই বলছে না। সর্বত্রই একটা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চলছে।
আরও পড়ুন-ইডেন ম্যাচে টিকিটের হাহাকার, বোর্ডের ঘাড়ে দায় চাপালেন সৌরভ
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা চারটি সাংগঠনিক জেলায় বিভক্ত। আমাদের সাংগঠনিক শক্তি মজবুত। ফলে বিজেপি যতই কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের দিয়ে আমাদের সহকর্মীদের উপর আঘাত হানার চেষ্টা করুক তাতে কোনও লাভ হবে না।