সংবাদদাতা, হাওড়া : মানুষকে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করিয়ে তাঁদের প্রাপ্য টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এটা ফৌজদারি অপরাধের সমান। ১০০ দিনের কাজের ১৫ দিনের মধ্যে জব কার্ড হোল্ডারদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়াই নিয়ম। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলার মানুষের প্রাপ্য সেই টাকা দু’বছর ধরে আটকে রেখেছে। এটা একটা ক্রিমিন্যাল অফেন্স। শনিবার আমতা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে এ কথা বললেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় (Pulak Roy)।
তিনি (Pulak Roy) বলেন, আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মানুষের এই ন্যায্য বকেয়া আদায়ে আমরা সর্বতোভাবে লড়াই-আন্দোলনে নেমেছি। এই দাবিতে আমরা দিল্লিতে গিয়ে বাংলার মানুষের বকেয়া মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনি সাক্ষাৎ না করে আমাদের পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে সেখান থেকে আমাদের বের করে দিয়েছিলেন। তবুও আমরা মানুষের বকেয়া আদায়ে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই-আন্দোলন চালিয়ে মানুষের প্রাপ্য টাকা আদায় করে আনবই। প্রয়োজনে দিল্লির রাজপথে নেমে মানুষের পাওনা আদায়ে ফের লড়াই হবে। মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে রাজ্যের পাওনা টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই টাকা আমরা আদায় করবই। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের পাওনা আদায় হচ্ছে ততক্ষণ এই লড়াই চলবে।
তিনি আরও বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা দুই অঙ্কে পৌঁছবে না। বিধানসভা ভোটের মতোই লোকসভা নির্বাচনেও পর্যুদস্ত হবে বিজেপি। এদিনের বিজয়া সম্মিলনীতে আমতা বিধানসভা এলাকায় ১৫০ জন বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেসকর্মীকে দলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মন্ত্রী পুলক রায় ছাড়াও বিধায়ক সুকান্ত পাল, হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসি’র হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্য-সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পৌঁছল প্রতিনিধি দল