প্রতিবেদন : এবার থেকে স্কুলের পাঠ্যবইতে যুক্ত হতে চলেছে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াও। স্কুলস্তর থেকে সমস্ত শ্রেণির সিলেবাসে যুক্ত করা হচ্ছে ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিষয়টি। সেই অনুযায়ী ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের ইতিমধ্যেই মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালরা কি ভুলে গেলেন তাঁরা আদৌ নির্বাচিত নন? কড়া ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
সমস্ত স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়স্তর পর্যন্ত এই বিষয়টি পড়ানো হবে এবং এর ভিত্তিতে আলাদা ক্রেডিট পদ্ধতি থাকবে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে এনসিইআরটি। সরকারের যুক্তি, এর মাধ্যমে ভোটের শিক্ষা এবং নির্বাচনী সাক্ষরতাকে পাঠ্যক্রমের কাঠামোতে এক করা সম্ভব হবে। সেই অনুযায়ী, দেশের সমস্ত স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রথমে তা চালু করা হবে ।
আরও পড়ুন-অস্থায়ী উপাচার্যকে কড়া চিঠি দিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর
শহুরে এবং যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ভোটদানের যে অনীহা তৈরি হয়েছে, তা দূর করতেই এই বিষয় চালু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, শ্রেণিকক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ যুবসমাজকে স্কুলস্তর থেকেই তাদের প্রথম ভোটের জন্য প্রস্তুত করবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৯১ কোটি ভোটারের মধ্যে ২৯.৭ কোটি ভোটার ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ভোটদান করেননি। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, এইভাবে শিক্ষাদানের মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ভোট ব্যবস্থা সম্পর্কে শিক্ষিত করে তোলার উদ্দেশে দীর্ঘমেয়াদে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর ফলে আগামী ভোটে দেশের শহুরে এবং যুব সম্প্রদায়ের ভোটদানে আগ্রহ বাড়বে।
আরও পড়ুন-পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাস্ক ফোর্সের হানা
তবে প্রথমে স্কুল, কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। এছাড়াও এই কর্মসূচির মধ্যে থাকছে ভোটার কার্ড দেওয়া। ১৮ বছর পূর্ণ হলেই সমস্ত পড়ুয়ার হাতে ভোটার কার্ড তুলে দিতে চায় নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি চালু করতে একটি নথি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিটি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে একটি করে ক্লাসরুম নির্দিষ্ট করতে হবে। সেখানে ভোট বিষয়ক নানান সামগ্রী যাতে দেখানো যায়। ‘ডেমোক্র্যাসি রুম’ নামে সেই শ্রেণিকক্ষে ভোটদান বিষয়ক শিক্ষাদান করা হবে। সারা বছর ধরে নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে ভোট বিষয়ক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এনসিইআরটি স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে নির্বাচনী সাক্ষরতার বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করবে এবং রাজ্য শিক্ষা বোর্ডগুলিকেও এটি অনুসরণ করার পরামর্শ দেবে বলে জানা গিয়েছে।