সংবাদদাতা, ডায়মণ্ড হারবার : অবশেষে সত্যিই দেখা দিল সে। দিন কয়েক আগে দেখা গিয়েছিল নদীর চরে পায়ের ছাপ। আশঙ্কা দেখা দিলেও তার উপস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল গ্রামবাসীদের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত দেখা মিলল দক্ষিণ রায়ের। শীত পড়ার আগেই সুন্দরবনের লোকালয়ে দেখা দিল দ্য রয়্যাল বেঙ্গল।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালরা কি ভুলে গেলেন তাঁরা আদৌ নির্বাচিত নন? কড়া ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
দিনদুয়েক আগেই ঠাকুরান নদী ও জগদ্দল নদীর সংযোগস্থলে পাথরপ্রতিমার দিন্দাপাড়া লাগোয়া রক্সিন নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন স্থানীয়রা। বাঘের উপস্থিতির স্পষ্ট ইঙ্গিত। গভীর আশঙ্কা চেপে বসেছিল এলাকায়। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। শেষমেশ দেখা মিলল দক্ষিণরায়ের। রবিবার বিকেলেই নদীর পাড় লাগোয়া রাস্তায় স্থানীয়দের নজরে আসে বাঘটি। দেখামাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সকলে ঘরে ঢুকে পড়েন। এরপর স্থানীয়দের মুখে খবর পেয়ে রাতেই বন দফতরের রামগঙ্গা রেঞ্জের আধিকারিক ও বনকর্মীরা চলে আসেন। এসে পৌঁছয় গোবর্ধনপুর উপকূল থানার পুলিশও। রাতভর জঙ্গল ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় পাহারা দেন বনকর্মী, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন-কবিকে অপমান, বিজেপিকে মানুষ বঙ্গোপসাগরে ফেলবে, ধরনামঞ্চে তোপ দাগলেন তৃণাঙ্কুর
কিন্ত জাল ফেললেও এখনও পর্যন্ত বাঘটিকে ধরা যায়নি বলে খবর। শীতের মরশুমে সুন্দরবনে ভিড় জমান পর্যটকরা। সুন্দরবনে গিয়ে বাঘ দেখতে পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু শীত পড়ার আগে সুন্দরবনের লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বন দফতর। গ্রামবাসীদের কথায়, বুধবার থেকে আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন তাঁরা। কখন যে লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ে এই আতঙ্কে দিন কাটছে। বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না কেউই। তবে সকলেরই ভরসা বনকর্মীরা।