ডেঙ্গুর মোকাবিলায়

ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাল ইনফেকশন যা ট্রপিকাল এবং সাবট্রপিকাল দেশগুলিতে দেখা যায়। আফ্রিকা থেকে শুরু করে আমেরিকা, সেখান থেকে সাউথ ইস্ট এশিয়ার দেশগুলোতে এই ইনফেকশন দেখা যায়। একশোটি বিভিন্ন দেশে এই রোগটি এন্ডেমিক হিসেবে পরিচিত। ডেঙ্গু নিয়ে বললেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডাঃ তনুকা মণ্ডল। লিখেছেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

প্রতিবেদন : প্রতি বছর জুলাই থেকে নভেম্বর মাস অর্থাৎ বর্ষা থেকে শুরু করে তার পরবর্তী সময় পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়ে। এই রোগ এডিস এজিপটি বা এডিস অ্যালবোপিকটাস নামক একটি মশা দ্বারা বাহিত হয়। ডেঙ্গু ভাইরাস চার প্রকৃতির । এই চারটে ডেঙ্গু ভাইরাস ( ডি ই এন ভি ) হল— ডেঙ্গু ভাইরাস ওয়ান, ডেঙ্গু ভাইরাস টু, ডেঙ্গু ভাইরাস থ্রি এবং ডেঙ্গু ভাইরাস ফোর । এটা জেনে রাখা দরকার, সাধারণত একবার কোনও ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর মানবদেহে সেটার ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। অর্থাৎ ডেঙ্গু ভাইরাস ওয়ানে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর শরীর শুধুমাত্র ডেঙ্গু ভাইরাস ওয়ানের কাছ থেকে ইনমিউনিটি পাবে অন্যগুলোর থেকে পাবে না। বরং দেখা গেছে একবার ডেঙ্গু হলে যতটা বিপজ্জনক তার চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়া। দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে প্রাণসংশয় হওয়ার তীব্র সম্ভাবনা থাকে। তবে ডেঙ্গু যদি আগেই ডায়াগনোসিস করে ফেলা যায় তবে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি।

সাধারণ উপসর্গ
ডেঙ্গুর এই উপসর্গগুলি দেখলেই সতর্ক হোন। ভীষণ তাপমাত্রা-সহ জ্বর, মাথাব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, গায়ে হাত, পায়ে ব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, গায়ে লালচে রাশ বেরনো। ছোটদের ক্ষেত্রে একদম খেতে না পারা, বমি বমি ভাব খুব বেশি দেখা যায়।
এছাড়া বিপজ্জনক উপসর্গ যেমন দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তক্ষরণ, মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ, গায়ে হাতে চাকা চাকা হয়ে রক্ত জমাট হয়ে যাওয়া বা লাল রয়্যাস— এগুলি দেখা দিতে পারে। ধীরে ধীরে জ্ঞানও কমে যেতে এ সময়। এসব ক্ষেত্রে রোগীকে হাপাতালে ভর্তি করা আবশ্যক।
এই সময় ঘুমের ব্যঘাত বা ক্ষুধা হ্রাসও দেখা যায়।
সাধারণত মশা কামড়ানোর থেকে জ্বর আসা অবধি সময়ের ব্যবধান থাকে পাঁচ থেকে সাতদিন অর্থাৎ সিম্পটম আসে দিন পাঁচ-সাত পরে।

জ্বর কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই আসে এবং হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যক্তি। ডেঙ্গু জ্বর একেবারে অ্যাসিম্পটম্যাটিক থেকে প্রকট সিম্পটমের স্টেজে চলে আসতে পারে, কিছুক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ডেঙ্গুতে প্রথম বাহাত্তর ঘণ্টা কিন্তু চোখে ধরা পড়ার মতো আলাদা কোনও উপসর্গ আসে না — সাধারণ জ্বরের মতোই মনে হয়। মাথাব্যথা, গায়ে ব্যথা এগুলোই থাকে। কিন্তু তৎক্ষণাৎ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নিলে সিজন চেঞ্জ বা সাধারণ ভাইরাল ফিভার ভেবে গাফিলতি করলে বা পরীক্ষা- নিরীক্ষা না করালে তা ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে।
ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে প্রথম বাহাত্তর ঘণ্টায় যদি সিম্পটম বুঝতে হয় তাহলে তিনটে বিষয় মাথায় রাখতে হবে। গায়ে ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব খুব বেশি হওয়া, হঠাৎ করে মাথা ঘোরা আর রক্ত টেস্ট করানোর পর রিপোর্টে শ্বেতরক্ত কণিকা কমে যাওয়া। এই তিনটে বিষয়ের প্রথম বাহাত্তর ঘণ্টাতেই অন্য জ্বর থেকে ডেঙ্গুকে আলাদা করতে বা ডেঙ্গু হয়েছে এটা খানিকটা বুঝতে সাহায্য করবে।

কখন বিপজ্জনক ডেঙ্গু
ডেঙ্গু হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি করাতেই হবে এমনটা কিন্তু নয়। দিনে তিনবারের বেশি বমি, নাক দিয়ে, মাড়ি দিয়ে এবং মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ, কালো পায়খানা এবং প্রস্রাব হওয়া, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হওয়া, নিশ্বাসে কষ্ট, বুক ধড়ফড় করা, অত্যধিক দুর্বলতা, রোগীর আচরণগত পরিবর্তন , হঠাৎ করে হাত-পা ফুলে যাওয়া বা হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি হওয়া, রোগী একদম জল না খেতে পারে বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া— এগুলি হলে দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা আবশ্যক। কারণ এই লক্ষণগুলো এলে প্রাণহানির সম্ভাবনা অনেক বেশি হতে পারে। মোদ্দা কথা, ডেঙ্গুর চিকিৎসা যত দ্রুত শুরু হবে তত বিপদ কম। তবে সেকেন্ডারি ডেঙ্গু কিন্তু সবসময়ই ভয়ঙ্কর।
ডেঙ্গুর জ্বরকে সাধারণত তিনভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম হল ফেব্রাইল ফেজ বা যে ফেজে জ্বর আসে, ক্রিটিকাল ফেজ যেমন জ্বর কমার পরবর্তী আটচল্লিশ ঘণ্টা, এবং রিকভারি ফেজ যখন রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। সাধারণত দেখা যায় প্রথম ফেজে যখন জ্বর আসে রোগী একদম জল খেতে পারে না এবং ডিহাইড্রেশনে ভোগে। নার্ভের সমস্যা থেকে শুরু করে খিঁচুনি হওয়া এই সময় বেশি দেখা দেয়।
ক্রিটিকাল ফেজে জ্বর কমে গেলেও কিন্তু ধীরে ধীরে শরীরের অবনতি হওয়া শুরু হয়। দেখা যায় রোগীর রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খারাপ হওয়া শুরু হয়। রিকভারি ফেজে রোগীর ফুসফুস, হৃদযন্ত্রের ও অন্য অঙ্গের সমস্যা দেখা দেয়। বলে রাখা ভাল যে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, সুগার এবং প্রেশার রয়েছে যাঁদের বা স্থুলকায় ও বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে খুব মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে ডেঙ্গু।

কী করণীয়
জ্বর হলে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, বিশেষ করে আপনার এলাকাটি যদি ইতিমধ্যে ডেঙ্গুপ্রবণ হয়ে গিয়ে থাকে। চিকিৎসককে জানাতে হবে রোগীর কী কী ওষুধ চলছে এবং কতদিন ধরে জ্বর রয়েছে। এইসময় জল বেশি করে খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে রোগীর মল-মূত্র স্বাভাবিক হচ্ছে কি না। বিপজ্জনক উপসর্গগুলোর দিকে ভাল করে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া রোগী যেন মশারি টাঙিয়ে শোয়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বাড়ির বাকি সদস্যরা মশারিতেই শোবে।

আরও পড়ুন : ঘুরে আসুন বাংলার জয়পুরে

নানা ডেঙ্গুর নানা লক্ষণ

ডেঙ্গু অ্যাসিম্পটম্যাটিকও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর হলে সাতদিন পর্যন্ত থাকবে এবং উপসর্গ যা যা হওয়ার তাই থাকবে, সেই সঙ্গে অল্প কিছুটা প্লেটলেট কমে যেতে পারে। এছাড়াও ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভার হলে সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলোর পাশাপাশি প্লাজমা লিকেজ হতে শুরু করে। রক্ত যে ধমনীতে থাকে তা থেকে লিক হয়ে যায় এবং হঠাৎ করেই রোগীর রক্তচাপ কমে যায় ও রোগীর হাত-পা ফুলে যায়। এক্ষেত্রে হতে পারে রক্তক্ষরণ বা পেট ব্যথাও। রোগীর সংকটজনক অবস্থা হয়ে যায় এরকম সময় এবং হঠাৎ করেই এক্ষেত্রে প্রাণ হারাতে পারে রোগী। এটি ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ। এছাড়া রয়েছে ডেঙ্গু এক্সপ্যানডেড সিনড্রোম। এই সিনড্রোমের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর প্রভাবে রোগীর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গও বিকল হয়ে যায়। যেমন ডেঙ্গু স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, খিঁচুনির রোগ, মাথায় এনসেফেলাইটিসও হতে পারে ।
পেটে ডেঙ্গুর প্রভাবে হতে পারে হেপাটাইটিস, লিভার ফেলিওর বা প্যানক্রিয়াটাইটিস। কিডনিকে প্রভাবিত করলে কিডনি পুরোপুরি খারাপও হয়ে যেতে পারে এবং প্রস্রাবে রক্ত আসতে পারে।.হৃদযন্ত্রে প্রভাবিত করলে ময়াকয়টাইটিস বা হার্টে কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়া দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে পেরিকার্ডিয়াল ইফিউশনও দেখা যেতে পারে। ফুসফুস আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট হবে সঙ্গে পালমোনারি হেমারেজ হতে পারে বা প্লিউরাল ইফিউশন হতে পারে। চোখের মধ্যে রক্তক্ষরণ, রেটিনার মধ্যে রক্তক্ষরণ এবং চোখে না দেখতে পাওয়ার মত অবস্থাও হতে পারে। এটা জানা জরুরি সব ডেঙ্গু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় না। বাড়িতেও ডেঙ্গুর চিকিৎসা সম্ভব। যে সব রোগীর ডেঙ্গু জ্বর দুই থেকে সাতদিন থাকছে, কোনও রক্তক্ষরণ নেই বা অন্য বিপজ্জনক উপসর্গ নেই, তাঁদের বাড়ি রেখে চিকিৎসা সম্ভব। সেই রোগীর মধ্যে যদি শিশু বা ডায়াবেটিক পেশেন্ট বা হার্টের রোগী বা অন্তঃসত্ত্বা মহিলা হলে তাঁদের ভীষণ চোখে চোখে রাখতে হবে। এঁদের বিপজ্জনক উপসর্গ এলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

চিকিৎসা
ম্যালেরিয়ার মতোই ডেঙ্গুর কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। এক্ষেত্রেও সব উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।
বাড়িতে যখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা হয় সেই ক্ষেত্রে জ্বর এলে জ্বর কমানোর ওষুধ দিতে হবে, মাথায় স্পঞ্জ করতে হবে। অন্য কোনও ওষুধ জ্বরের সময় চলবে কি না, সেই বিষয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। একদম বেড রেস্টে থাকতে হবে। জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কিছু না খাওয়া ভাল।.সব সময় জল প্রচুর খেতে হবে। বমি ভাব থাকলে অল্প অল্প করে জল বারবার খেতে হবে।
এর সঙ্গে ডাবের জল, ওআরএসের জল, ফলের রস, ভাতের ফ্যান, বার্লির জল দেওয়া যেতে পারে।
অ্যাসপিরিন, মেফেনমিক অ্যাসিড, আইব্রুফেন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ এই সময় খাওয়া চলবে না। এই কম্বিনেশনের প্যারাসিটামলও খাওয়া চলবে না। অ্যান্টিবায়োটিক সবক্ষেত্রে খাওয়া জরুরি নয়।
ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভারের সমস্যা অনেক জটিল। তাই চিকিৎসাও খুব জটিল। ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভার হলে রক্ত বা স্যালাইন দেওয়া, প্লেটলেট দেওয়ার দরকার পড়ে বেশির ভাগ সময়। অনেক সময় মানুষ ভাবে প্লেটলেট দিলেই বুঝি ডেঙ্গু ঠিক হয়ে যাবে। প্লেটলেট দেওয়াই ডেঙ্গু ট্রিটমেন্টের শেষ কথা নয়। চল্লিশ হাজার অবধি বা তার উপর পর্যন্ত রোগীর প্লেটলেট থাকে এবং যদি রক্তক্ষরণ না হয় তবে সেক্ষেত্রেও প্লেটলেট দেওয়ার দরকার পড়ে না। প্লেটলেট তখনই দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে যখন রক্তক্ষরণ না হওয়া সত্ত্বেও দশ হাজারের কাছাকাছি প্লেটলেটের মাত্রা চলে যায়। তবে কোনও ডেঙ্গু রোগীর যে কোনও প্রকার রক্তক্ষরণ হলেই কিন্তু প্লেটলেট দিতেই হবে। যদি কোনও রোগী শকে চলে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায় সেক্ষেত্রেও দরকার হতে পারে প্লেটলেটের। শরীরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে প্লেটলেটের সঙ্গে রক্তও দিতে হতে পারে। তাই ডেঙ্গু হলে সব সময় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলতে হবে। না হলেই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন : ঘুরে আসুন বাংলার জয়পুরে

পরীক্ষা এবং পরিষেবা
ডেঙ্গুতে রক্তপরীক্ষা বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট জরুরি তার সঙ্গে এনএস ওয়ান টেস্ট যা প্রথমদিনই জানিয়ে দেবে ডেঙ্গু আছে কী নেই। তবে আইজিএম ডেঙ্গু টেস্ট জ্বর আসার পঞ্চম দিন থেকে করতে হয়। এই ক্ষেত্রে কবে থেকে জ্বর এল সেটা মাথায় রেখে ডাক্তারকে বলতে হবে, সেই অনুযায়ী তিনি টেস্ট করতে দেবেন। আর জি করে জ্বর নিয়ে কোনও রোগী এলে এমারজেন্সি ল্যাব থেকে টেস্ট করিয়ে নেওয়া হয় এবং ভর্তি হওয়ার আগেই জেনে নেওয়া যায় তাঁর শ্বেতরক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা, প্লেটলেট কাউন্ট কতটা, ডেঙ্গু হয়েছে কি না সেই পরীক্ষাও করে নেওয়া যায়। ফলে দ্রুত ডেঙ্গুর চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া সম্ভব হয়। এখানকার ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত বা প্লেটলেট চট করে পাওয়া যায়। ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভারের রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার সবরকম আপৎকালীন ব্যবস্থাও আছে।

Latest article