সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : পুজোর ছুটিতে বিশ্বভারতী বন্ধ। ছাত্র-শিক্ষকেরা বাড়িতে। কিন্তু বিদ্যুৎবিদায়ে অকাল বৈতালিক এবং প্রতীকী উপাসনা হল আশ্রমের বাইরে। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রাক্তনী ও কর্মীদের একাংশ গঙ্গাজল ছিটিয়ে, আবির খেলে এবং উপাসনাগৃহের সামনে গোবরজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করেন। প্রাক্তন উপাচার্যকে তাঁরা ভাইরাস মনে করে এগুলি করেন বলে শোনা যায়। পাশাপাশি, বুধবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী উদ্যোগে বিদ্যুতের প্রতীকী শবযাত্রাও বের করা হয়।
আরও পড়ুন-৩৭৩ বছরের প্রাচীন কৃষ্ণানন্দের কালীপুজো ঘিরে উন্মাদনা
বুধবার আশ্রমিক সংঘ ও শান্তিনিকেতনবাসীরা প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিদায়ের নোটিফিকেশনের অপেক্ষায় থেকে একটু দেরি করেই মুক্তির আনন্দে বৈতালিক বের করেন আশ্রমের বাইরে। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীরা বিশেষ বৈতালিক বের করেন এবং আলোয় সজ্জিত করেন গৌরপ্রাঙ্গণ, ছাতিমতলা, ঘণ্টাতলা সিংহসদনে। উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আশ্রমিক তথা আশ্রমিক সংঘের সচিব সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদ্যুৎবাবুর আমলে পৌষমেলায় আশ্রমিক সংঘকে অপমান করার পর তাঁদের কোনও সদস্য আশ্রমে আসেননি। সন্ধ্যায় বিশেষ বৈতালিকে অংশ নেন তাঁরা। আশ্রমের আকাশ মুখরিত হয় বিশেষ সমবেত বৈতালিক সঙ্গীতে ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ ও ‘আমার এ দেহখানি তুলে ধরো তোমার ঐ দেবালয়ে প্রদীপ করো।’
আরও পড়ুন-১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে, নলহাটিতে তৃণমূলের প্রতিবাদসভা
শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সচিব অনিল কোনার বলেন, ‘বিশ্বভারতীর রীতি অনুযায়ী এখানে আলোকসজ্জা হয় খ্রিস্ট উৎসব, পঁচিশে বৈশাখ এবং বাইশে শ্রাবণের মতো বিশেষ দিনে। ছুটি চলছে বলে বিশ্বভারতীর নিজস্ব অনুষ্ঠান নেই। কিন্তু বিদ্যুৎবিদায়ের আনন্দে বিশেষ বৈতালিক এবং আলোকসজ্জা হয়েছে আশ্রমে। উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্বভারতীর কর্মী, স্থানীয় ছাত্র ও প্রাক্তনীরা।’’ সুবীরবাবু জানান, আশ্রমিক সংঘ, আলাপিনী সমিতি এবং শান্তিনিকেতনবাসীরা কিছু অনুষ্ঠান করে আশ্রমের বাইরে রাস্তায়। বুধবার উপাচার্য বিদায়ের নোটিফিকেশন বের হলে রাতে বৈতালিক বের হয়। এতদিন তো অরাবীন্দ্রিক অনুষ্ঠান হয়েছে। এবার মুক্তি।