প্রতিবেদন : অনৈতিক-অগণতান্ত্রিক ভাবে, গায়ের জোরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করল এথিক্স কমিটি। তাও আবার ৬-৪ ভোটের পরে। আসলে যা শোনা গিয়েছিল তাই ঘটল। এ জিনিস যে ঘটবে তা আগেই মহুয়া বলেছিলেন। শীতকালীন অধিবেশনে তিনি যাতে সংসদে মুখ খুলতে না পারেন তার জন্যই এই বন্দোবস্ত। হলও তাই।
যা শোনা গিয়েছিল তাই ঘটল, অন্যথা কিছু হয়নি। কোনওরকম সঠিক তদন্ত ছাড়াই বেআইনিভাবে অভিযোগ তুলে মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করল এথিক্স কমিটি। আসলে পুরোটাই তৃণমূলকে বিপাকে ফেলা ও ব্যতিব্যস্ত করে তোলার জন্য প্রতিহিংসার পদক্ষেপ। এথিক্স কমিটির রিপোর্ট অনৈতিক ভাবে বাইরে বেরিয়েছে। তদন্ত ছাড়াই আলোচনায় সিলমোহর দেওয়া হয়েছে ও তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিজেপিকে ধুইয়ে দিয়ে বলেন, যদি কেউ সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে চায়, সরকারকে প্রশ্ন করে, আদানিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়, কী উপায়ে তাকে সাংসদ পদ থেকে হটানো যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তাঁর সংযোজন, নীতি কমিটিতে অনেক অভিযোগ পড়ে রয়েছে। দেড় মাস আগে নতুন সংসদ ভবনে যখন বিশেষ অধিবেশন বসল, বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি সংসদের গরিমায় আঘাত করেন। বিজেপি-র এমন অনেক সাংসদ রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আজ পর্যন্ত শুনানি হয়নি। এরপরেই অভিষেকের তোপ, নীতি কমিটির সুপারিশের যে খসড়া আমার হাতে এসেছে, তাতে দেখলাম, মহুয়ার বিরুদ্ধে কিছু রয়েছে কি না খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তদন্ত করে দেখতে হবে। যদি কিছু না-ই থাকে, তাহলে বহিষ্কারের সুপারিশ করলেন কী করে? তবে মহুয়া নিজের লড়াই, নিজে লড়ার যোগ্য। স্পষ্ট বক্তব্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বৃহস্পতিবার সাংসদ মহুয়া মৈত্র ফের লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানেও মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, যে আদানি গ্রুপের অনৈতিক কাজ নিয়ে আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি, মুখ খুলেছি, সেই আদানি গ্রুপের অধীনে থাকা নিউজ চ্যানেলের খবরের ভিত্তিতেই আমার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে কমিটি। এই চূড়ান্ত অনৈতিক কাজ কী করে হতে পারে? তারা কীভাবে অনৈতিক অ্যাকসেস পেতে পারে! আমার আগের চিঠির কোনও জবাবও আমি পাইনি। একইসঙ্গে মহুয়া প্রশ্ন তুলেছেন, এথিক্স কমিটির রিপোর্ট কীভাবে ফাঁস হয়ে যায় তা নিয়েও।
আরও পড়ুন- সেদিন আদবানি বলেছিলেন ‘মৃত্যুদণ্ড’