বাসুদেব ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি: লোকমুখে কথিত, মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি পান স্থানীয় মানুষ। মূর্তিটির পেটটা কাটা এবং কাটা জায়গায় একটি কাঁকড়াবিছে। তা থেকেই নাম পেটকাটি কালী। জলপাইগুড়ি জেলার প্রাচীন জনপদ ময়নাগুড়ির কালো কষ্টিপাথরের এই প্রতিমা দেখলে আজও শিহরন জাগে গায়ে।
আরও পড়ুন-আলোকিত সাহিত্য
কালীপুজোর রাতে দূরদূরান্ত থেকে এসে মানুষ ভিড় করেন পুজো দেখতে। দুদিন ধরে চলে মেলা। সাড়ে চার ফুট উঁচু কষ্টিপাথরে তৈরি কালী পদ্মের উপর দাঁড়িয়ে। দশভুজা। যদিও খননের সময় তিনটি হাত ভেঙে যায়। বাঁদিকের পাঁচটি হাতে রয়েছে হাতি, ঘণ্টা, নরমুণ্ড ও নরমূর্তি। মূর্তির কাটা পেটে বিছের ছবি। গলায় মুণ্ডমালা, সারা শরীর সর্পমালায় শোভিত।
আরও পড়ুন-বিজেপির জেলা সভাপতি-সহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ধৃত তিন
ইতিহাসবিদ উমেশ শর্মা জানান, পেটকাটি আদপে কালীমূর্তি হলেও একে ধূমাবতী চণ্ডীকালী হিসেবেই কালীপুজোর সময় পুজো করা হয়। পুরোহিত বাবলু দেবশর্মা কয়েক পুরুষ ধরে পুজো করে আসছেন। মূর্তির বয়স অজানা। মন্দির কমিটির সম্পাদক তুষার মজুমদার জানান, পুজোর দিন রাতে প্রচুর পাঁঠা উৎসর্গ করেন ভক্তেরা। বলির পর সেই মাংস বিলি করা হয়। পুজোকে কেন্দ্র করে দু’দিন ধরে মেলা চলে। পুজো দেখতে এবং মেলা ঘুরতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।