সুস্মিতা মণ্ডল, গোসাবা : শুক্রবারের রাত পোহালেই উপনির্বাচন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের প্রান্তিক দ্বীপ গোসাবা। একসময় আরএসপির দাপট থাকলেও ২০১১-য় জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ন্ত নস্কর। অবহেলিত দ্বীপাঞ্চলে উন্নয়নের চাকা ঘুরতে থাকে। টানা তিনবার তিনি জয়ী হন। এবার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে করোনা আক্রান্ত হন জয়ন্ত। করোনামুক্ত হলেও পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন-ডিপ্লোমা কোর্স
উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতৃত্ব সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুব্রত মণ্ডলকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেন। গোসাবার বালি-২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুব্রত। এলাকায় বড় হয়ে ওঠা ও পঞ্চায়েত থেকে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ১৮টি পঞ্চায়েত নিয়ে গোসাবা বিধানসভা। এর ১৬টি কয়েকটি দ্বীপে ছড়িয়ে। দুটি বাসন্তী ব্লকে। এবারে সুসংহত প্রচারে অভিষেকের মূল সেনাপতি ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সওকত মোল্লা। গত ১৫ দিন প্রার্থীকে নিয়ে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকা চষে বেড়িয়েছেন হেঁটে, ইঞ্জিন ভ্যানে বা নৌকায়।
আরও পড়ুন-স্বনির্ভর, স্বনিযুক্তি প্রকল্পের সম্বন্ধে একনজরে
প্রচারসভায় ভাষণ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সায়নী ঘোষ-সহ জেলার একাধিক বিধায়ক। বিরোধী বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানা রায়দিঘির বাসিন্দা। বহিরাগত প্রার্থীকে নিয়ে ক্ষোভ আছে এলাকায়। প্রচারেও হতশ্রী ধরা পড়েছে। গতবারের বিজেপি প্রার্থী চিত্ত প্রামাণিক কয়েক মাস আগে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন। বাম প্রার্থী আরএসপির অনিল মণ্ডলকে প্রচারেও পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে গোসাবা আসনে এবার মার্জিন বাড়ানোর লড়াই।