সুনীতা সিং, বর্ধমান: দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই গোটা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও শ্যামাপুজো নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে। জেলার প্রতিষ্ঠিত কালীবাড়ি তথা সিদ্ধপীঠগুলিতে যেমন মানুষের ঢল নেমেছে তেমনি এবার রীতিমতো নজর কাড়ল বর্ধমানের মেহেদিবাগান বারোয়ারি সর্বজনীন শ্যামাপুজো কমিটির আয়োজন। প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বাজেটের এই পুজোর থিম (kali puja Theme) এবার দিল্লির লালকেল্লা। লালকেল্লার থিমের সঙ্গেই তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস তথা ইণ্ডিয়া জোটের দিল্লি দখলের লড়াইকে। পুজো কমিটির সদস্য বাপি শর্মা জানান, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গোটা ভারতবাসীর মধ্যে শঙ্কা ছাড়া নতুন কিছু তৈরি করতে পারেনি। একের পর এক জনবিরোধী নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে তারা। তাই বাংলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছেন। দিল্লির ক্ষমতা দখল করবেন বাংলার মেয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়।ইণ্ডিয়া জোটও সেটাই চাইছে। তাই এই লালকেল্লা থিমের মধ্যে দিয়ে সেই বার্তা তুলে ধরতে চেয়েছি আমরা। উল্লেখ্য, এই থিমে (kali puja Theme) তুলে ধরা হয়েছে দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর সামনে রয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তুলে ধরা হয়েছে দেশের অসংখ্য মনীষী, সম্রাট ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবিও। বাপি জানান, এই পুজোতেও তাঁরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তাকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি দল গোটা দেশে জাতপাতের রাজনীতিকেই উৎসাহ দিচ্ছে। ৭৭ বছরের এই পুজোয় এবারে পুজো কমিটির সভাপতি রয়েছেন ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু। যিনি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতি। এই পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু জানান, বিজেপির আগ্রাসী ও স্বৈরাচারী মনোভাব এবং সেই সঙ্গে ধর্মীয় বিভেদের রাজনীতিতে দেশে এক অশুভ বাতাবরণ বিরাজ করছে। সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলা তথা দেশের আপামর সাধারণ মানুষের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিতেই এই থিম তুলে ধরা হয়েছে।কারণ সাধারণ মানুষ জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কেই আসন্ন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখাতে চান। বাংলার মানুষও যে এটাই চান আমাদের এই পুজোমণ্ডপে তাঁর ভিড়ই সেটা বলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-দেশের আইআইএমগুলিতে এবার খবরদারি করার কৌশল মোদি সরকারের