মৌসুমি দাস পাত্র, নদিয়া: ২৭৩ বছর ধরে তন্ত্রসাধক ভৃগুরামের পুজো চলছে শ্যামাপিঁড়িতে। নবদ্বীপের (Nabadwip- Kali puja) দক্ষিণাঞ্চলের তেঘরিপাড়ার ষষ্ঠীতলায় ভৃগুরামের সেই শ্যামাপিঁড়ি। পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসেই ভৃগুরাম পুজো করতেন। সারা বছর মন্দিরে ঘটে ও যন্ত্রে পুজো হলেও কালীপুজোর রাতে মৃন্ময়ী মূর্তির পুজো হয়। ভৃগুরামের পরিবার আজও সেই রীতি মেনে পুজো করে আসছেন। তন্ত্রসাধক ভৃগুরাম পূর্ববঙ্গের ঢাকায় থাকতেন। নবদ্বীপে এসে তন্ত্রসাধনা করবেন ইচ্ছা ছিল। সেজন্য ১৭২৮ সালে ঢাকা থেকে সপরিবার নবদ্বীপে আসছিলেন। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে নৌকা ডুবলে স্ত্রী, ছেলেমেয়ে সকলেই ভেসে যায়। ভৃগুরামকে উদ্ধার করেন মাঝিরা। নবদ্বীপের (Nabadwip- Kali puja) এলানিয়া শিবতলা তখন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। সেখানে একটা পুরনো পঞ্চমুণ্ডির আসন ছিল। তাতেই তন্ত্রসাধনা করতেন ভৃগুরাম। লোকের মুখে মুখে খবর পৌঁছে যায় নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কানে। কৃষ্ণচন্দ্র দেখা করে তাঁকে তেঘরি মৌজা দান করেন। সেটিই আসলে শ্যামাপিঁড়ি। পিঁড়ির অর্থ আসন। এই শ্যামাপিঁড়িতেই আজও পুজো করেন ভৃগুর বংশধররা। ভৃগুর তিন ছেলে। ছোট ছেলেকে দায়িত্ব দেন ভৃগুরাম। যদিও তেঘরিপাড়া এলাকায় সকলেই প্রায় ভৃগুর বংশধর। ছোট ছেলের বংশধররাই ওই পুজো করে আসছেন। এই পুজো ঘিরে স্থানীয় মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুন- ২০২৪-এর ১৫ আগস্ট লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়