প্রতিবেদন : ভাইফোঁটা বাঙালিদের বড্ড বেশি স্পেশ্যাল। ভাই-বোনের আত্মিক বন্ধনের এই উৎসব বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম বড় পরিচায়কও বটে। বাড়িতে দাদাদের ফোঁটা দিয়ে বোনেদের আবদার প্রতি ঘরের চেনা ছবি। কিন্তু এই উৎসবের আবহে যাঁদের কাছে প্রিয়জনেরা নেই অথবা অনেক দূরে সরে গেছেন কাছের মানুষেরা, বৃদ্ধাশ্রমে থাকা সেই বয়স্ক চোখগুলো তাকিয়ে থাকেন নবনীড় আর তৃণমূলের দিকে। টালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকার বাঁশদ্রোণীর ‘নবনীড় বৃদ্ধাশ্রম’-এ প্রতি বছরের মতো এবারও তৃণমূলের উদ্যোগে সাড়ম্বরে পালিত হল ভাইফোঁটা। ১০০ জন বৃদ্ধা শুধু যে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে (Bhai dooj- Aroop Biswas) ফোঁটা দিলেন তাই নয়, ভালবাসায় ভরিয়ে দিলেন উপস্থিত টলি-তারকাদেরও।
সকাল থেকেই এলাহি আয়োজন। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Bhai dooj- Aroop Biswas) সবটা নিজের হাতে তদারকি করলেন। ‘নবনীড় বৃদ্ধাশ্রম’ যে একেবারেই তাঁর নিজের পরিবারের মতো! হাইভোল্টেজ সেমিফাইনাল ম্যাচের কথা মাথায় রেখে বড় টেলিভিশনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রতিবছরই এখানে এক অন্যরকম ভাইফোঁটা কাটান টালিগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এক মঞ্চে নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী আর টলি-নায়িকাদের উপস্থিতি তৈরি করল এক বিরল দৃশ্য। উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, তারকা বিধায়ক জুন মালিয়া, অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু, রনিতা, সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান, ঐন্দ্রিলা, মানালি-সহ আরও অনেকে। ছিলেন কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরূপ চক্রবর্তীরাও। মন্ত্রী ফোঁটা নেওয়ার পর প্রত্যেক বোন, দিদি, বয়স্কদের হাতে তুলে দিলেন উপহার। বৃদ্ধাদের চোখে তখন জল। এটাই যে তাঁদের পরম পাওয়া। কেউ কেউ আদরের ভাই অরূপকে গাল টিপে আদর করেও দিলেন। ছিল খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। জুন-নুসরতরা বললেন এই আয়োজন অরূপদা ছাড়া কেউ করতেই পারেন না।
আরও পড়ুন- ভাইফোঁটায় হট কেক হল কালনার দোকানের চন্দ্রযান মিষ্টি