প্রতিবেদন : সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে নয়া পদক্ষেপ মোদি সরকারের। সাংসদদের প্রশ্ন জমা করার পদ্ধতির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের তরফে আবার নতুন অজুহাত দেওয়া হয়েছে। এদিন সাংসদদের আপ্তসহায়কদের জানানো হয়েছে, প্রশ্নপত্র বা নোটিশ জমা দিতে না পারলেও ওয়েবসাইটের সেভ অপশনে প্রশ্ন ড্রাফট করে রাখতে পারবেন তাঁরা। সাংসদ সেই ড্রাফট থেকে নিয়ে নিজে লগইন করে প্রশ্ন সাবমিট করতে পারেন।
আরও পড়ুন-আমডাঙায় খুন তৃণমূল প্রধান
রাজনৈতিক মহলের মতে প্রশ্নপত্র, নোটিশ দেওয়ার পদ্ধতিটি ক্রমশই জটিল করে তুলতে চাইছে মোদি সরকার। কারণ করোনা অতিমারির সময় থেকে যে হার্ড কপি জমা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছিল ফের তা চালু করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে লোকসভার তৃণমূলের সাংসদ মালা রায় বলেন, গত ১০ বছরের রেকর্ড অনুযায়ী যদি মাসের ৪-৫ তারিখে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়, তাহলে এই সময় গড়ে প্রায় ২২৫ থেকে ২৭৫টি পর্যন্ত লিখিত প্রশ্নপত্র জমা পড়ত। এবার ৪ তারিখের প্রশ্নের জন্য মাত্র ১৬৬ জন সাংসদ প্রশ্ন জমা করেছেন। কারণ, অনলাইন পদ্ধতিতে অনেক বেশি প্রশ্ন জমা করা যায়। আসলে সংসদে বিরোধীরা যাতে প্রশ্ন করতে না পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে বেশি প্রশ্ন না আসে, সেজন্য এই পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার।
আরও পড়ুন-পর্যটকদের জন্য নতুন রূপে সেজে উঠছে গড়চুমুক
লোকসভা এবং রাজ্যসভার প্রত্যেক সাংসদের একজন করে অনুমোদিত আপ্তসহায়ক থাকেন। সেই আপ্তসহায়করা সাংসদের মেল আইডি, নোটিশ জমা দেওয়া, পরিবহণ এবং অন্যান্য খরচের রশিদ জমা করেন ডিজিটাল সংসদের মাধ্যমে। সেখানে আপ্তসহায়কদের নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি দিয়ে নথিভুক্ত করা থাকে। ডিজিটাল সংসদ খুলে রশিদ বা কোনও নথি জমা দিতে গেলে নথিভুক্ত আপ্তসহায়কের মোবাইলে ওটিপি আসে এবং তা দিলেই খুলে যায় ওয়েবসাইট।
আরও পড়ুন-চন্দননগরে জগদ্ধাত্রীর বড় আকর্ষণ আলোই
সূত্রের খবর, বুধবার সকালে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনের জন্য প্রশ্ন জমা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন বেশ কয়েকজন সাংসদের আপ্তসহায়ক। বহুবার চেষ্টা করেও তা পারেননি তাঁরা। আপ্তসহায়কদের তরফে বিষয়টি খোঁজ নিতে গেলে লোকসভার সচিবালয় জানায়, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ঘটনার পরে সমস্ত আপ্তসহায়কের অনলাইন অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।