প্রতিবেদন : হকারদের ঋণদান প্রকল্পে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ক্ষেত্রে এ-রাজ্য চলতি বছরে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। চলতি বছরে রাজ্যকে তিন লক্ষের বেশি হকারকে ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ওই প্রকল্পে আড়াই লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন-ফের কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে অ্যামাজনে
দেড় লক্ষের বেশি আবেদনকারী টাকা পেয়ে গিয়েছেন বলে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গেছে। রাজ্যের প্রায় ১০টি পুরসভায় লক্ষ্যমাত্রার থেকেও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এই তালিকায় মাথাভাঙা, হলদিবাড়ি, সিউড়ি, মেখলিগঞ্জ, বোলপুর, রামপুরহাট, কাটোয়া, মুর্শিদাবাদ, দিনহাটার মতো পুরসভা রয়েছে। রাজপুর-সোনারপুর, মহেশতলা ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার ক্ষেত্রে ঋণের আবেদন দশ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী প্রথম দফায় দশ হাজার টাকা নেওয়ার পর যদি উপভোক্তারা নির্দিষ্ট সময়ে তা শোধ করে দেন, তাহলে দ্বিতীয় ধাপে কুড়ি হাজার টাকার ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে। অনেক সুবিধাভোগী ইতিমধ্যেই প্রথম দফার ঋণ শোধ করে পরবর্তী ঋণের আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন-পূর্বিতায় তিন ঘণ্টা জেরা প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎকে
চলতি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ করে মোদি সরকার। নিয়মের অছিলায় রাজ্যকে বেকায়দায় ফেলতেও পিছপা হয়নি তারা। কিন্তু তাদের এই অভিযোগ যে সর্বদা ঠিক নয়, তার প্রমাণও মিলেছে বারবার। হকার লোনের ক্ষেত্রেও রাজ্যের সাফল্যই সামনে এসেছে। বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় কতজন হকারকে লোন দেওয়া হল, আবেদনই বা কত পড়ল, সবটাই নবান্ন থেকে নজরদারি করছেন খোদ মুখ্যসচিব।
আরও পড়ুন-ফাঁকা বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ৪ ভাইবোনের!
এ-বিষয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, অনেক কিছুতেই আমরা এগিয়ে আছি। ১০০ দিনের কাজ হোক কিংবা অন্যান্য প্রকল্প— কেন্দ্রীয় সরকার নিজেরাই আমাদের একাধিকবার পুরস্কৃত করেছে। আবার তারাই অভিযোগ তুলে টাকা আটকে রেখেছে। আখেরে গরিব মানুষের ক্ষতি হচ্ছে।