প্রতিবেদন : বারো দিনের মাথায় উজ্জ্বল হচ্ছে আশার আলো। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বৃহস্পতিবার সকালেই অন্ধকূপ থেকে মুক্ত হবেন ৪১ জন শ্রমিক। উত্তরকাশীর টানেল থেকে উদ্ধার পেতে আর মাত্র কয়েক মিটার খনন বাকি বলে বুধবার বেশি রাতে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্য হরপাল সিং। বুধবারই শুরু হয়েছে উল্লম্ব বা ভার্টিকাল ড্রিলিং।
আরও পড়ুন-ধাক্কা খেল এনআইএ, মামলা কাড়ল সুপ্রিম কোর্ট ছত্তিশগড়ে ঝিরাম ঘাটি গণহত্যা
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২১ জন সদস্য রেসকিউ টিউব দিয়ে টানেলে ঢুকেছেন। এনডিআরএফ টিমের সদস্যদের মাধ্যমে বন্দি শ্রমিকদের নিরাপদে বের করার প্রস্তুতি চলছে। শেষ মুহূর্তে আশা আর উদ্বেগের তীব্র দোলাচলে রয়েছেন শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা। নিরাপদে উদ্ধারের জন্য পুজো-প্রার্থনাও চলছে। ইতিমধ্যেই ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে। ১৫ জন চিকিৎসকের একটি টিম সেখানে আছেন।
আরও পড়ুন-পূর্বিতায় দ্বিতীয় দফায় জেরা করা হল বিদ্যুৎকে
কন্ট্রোলরুমে প্রস্তুত করা হয়েছে ৪১ শয্যার হাসপাতাল। একটি হেলিকপ্টারকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুস্কার সিং ধামিও গিয়েছেন ঘটনাস্থলে। বুধবারও বোতলে ভরে শ্রমিকদের জন্য গরম খিচুড়ি, জল, ওষুধপত্র পাঠানো হয়।
এদিকে এদিন পাহাড়ের তিনটি ভিন্ন পয়েন্ট থেকে উল্লম্বভাবে ড্রিলিং শুরু হয়, যাতে দ্রুত আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো যায়। সিল্কিয়ারার উদ্ধার অভিযানে মঙ্গলবার টেলিস্কোপিক পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখার পর ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে বিছানো ৯০০-মিমি ব্যাসের ইস্পাত পাইপের মধ্য দিয়ে ৮০০ মিমি ব্যাসের ইস্পাত পাইপগুলিকে ধাক্কা দেওয়ার পরে অগার মেশিনটি আবার চালু করা হয়। ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য পথ প্রস্তুত করতে সিল্কিয়ারা টানেলে আমেরিকান অগার মেশিনের সঙ্গে ড্রিলিং পুনরায় শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-ইতিমধ্যে ৫৭ হাজার বাড়িতে প্রশাসন পৌঁছে দিয়েছে পানীয় জল
বুধবার রাতে ফের বাধার মুখে পড়ায় অগার মেশিনের কাজ খানিকক্ষণ বন্ধ থাকে। উদ্ধারকারী দলের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ৮০০ মিমি ব্যাসের স্টিলের পাইপ ঢোকানো হয়েছে।
সিল্কিয়ারা নির্মাণাধীন টানেলে দুর্ঘটনার পর বিজেপি-শাসিত উত্তরাখণ্ড সরকার রাজ্য মালিকানাধীন এনএইচএআই-এর নির্মাণাধীন ২৯টি টানেলের সেফটি অডিট করবে বলে বিবৃতি দিয়েছে।