প্রতিবেদন : রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন দলের ইস্তাহার প্রতিশ্রুতির মধ্যে কোথাও নেই বছরের পর বছর ধরে চলে আসা জলের সমস্যার হাত থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি। ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্যায়ে শনিবার মরুরাজ্য রাজস্থানের নির্বাচন।
আরও পড়ুন-আশার আলো, আর কয়েক ঘণ্টা
ইতিমধ্যেই মিজোরাম, ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশে শেষ হয়েছে বিধানসভা ভোট। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের মহড়া হিসাবে বিবেচনা করে জনসাধারণের মন জয় করার জন্য চলছে প্রতিশ্রুতির জোয়ার। কংগ্রেস-শাসিত রাজস্থানের ভোটে মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি এবং কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই কর্মসংস্থান, নারী উন্নয়ন, এলপিজি গ্যাসের দাম কমানো সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুই দলই। কিন্তু রাজস্থানের মূল সমস্যা পানীয় জলের ইস্যু কার্যত অবহেলিত থেকে গিয়েছে।
মরুরাজ্যের একাধিক গ্রামের মানুষ চাষাবাদ এবং পানীয় জলের উৎস হিসেবে বৃষ্টির জলের উপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন-ধাক্কা খেল এনআইএ, মামলা কাড়ল সুপ্রিম কোর্ট ছত্তিশগড়ে ঝিরাম ঘাটি গণহত্যা
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও রাজস্থানের বহু গ্রামেই নেই পানীয় জল। রাজ্যের শেখাওয়াটি অঞ্চলে জল সংকট একটি গুরুতর সমস্যা। এখানকার গ্রামের পর গ্রাম চাষাবাদ ও পানীয় জলের উৎস হিসেবে বৃষ্টির জলের উপর নির্ভরশীল। এক বছর বৃষ্টি না হলেই ঘরের মহিলাদের জল আনতে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়। অথচ কোনও দলের প্রতিশ্রুতিতেই গুরুত্ব পায়নি রাজস্থানের এই জ্বলন্ত সমস্যার কথা।
আরও পড়ুন-ইতিমধ্যে ৫৭ হাজার বাড়িতে প্রশাসন পৌঁছে দিয়েছে পানীয় জল
ইস্টার্ন রাজস্থান ক্যানেল প্রজেক্ট (ইআরসিপি) চম্বল অববাহিকা থেকে বর্ষার উদ্বৃত্ত জলকে কাজে লাগানোর জন্য তৈরি হলেও প্রকল্পটি বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জর্জরিত। একদিকে যখন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে যে ইচ্ছাকৃতভাবে ইআরসিপিকে জাতীয় মর্যাদা দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না কেন্দ্র, তখন বিজেপি অভিযোগ করেছে রাজ্যের শাসক দল প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে ছেঁদো রাজনীতি করছে। এমনকী রাজস্থানের তথাকথিত অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, তাঁরা প্রতি তিনদিন পর পর জলের সরবরাহ পান। রাজস্থানের আলওয়ার (গ্রামীণ) থেকে কংগ্রেস প্রার্থী টিকারম জুলি (যিনি অশোক গেহলট সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন) স্বীকার করেছেন, জলসংকট এখানকার মূল সমস্যা। রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ইআরসিপির মাধ্যমে আলওয়ারে জল সরবরাহ করা হবে।