প্রতিবেদন : অযোধ্যার রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারিতেই খুলে যাচ্ছে রামমন্দিরের দরজা। ২২ জানুয়ারি এই অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা ভোটের আগে দেশজুড়ে হিন্দুত্বের হাওয়া তুলে বৈতরণী পেরোতে এখন রামই বড় ভরসা মোদির।
আরও পড়ুন-জল সমস্যার ইস্যু উপেক্ষিতই
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এই অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে পালন করতে তাই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে মোদির দল ও তাঁর সরকার। রামমন্দির খোলার আগে এখন ইন্টারভিউ নিয়ে পুরোহিত নিয়োগ করা হচ্ছে। মোদি জমানায় গোটা দেশেই কর্মসংস্থানের বেহাল দশা। এই পরিস্থিতিতে অযোধ্যার মন্দিরে পুরোহিত নিয়োগের খবর পেয়েই শুরু হয়েছে হুড়োহুড়ি। মন্দিরে পুরোহিত ও মহন্ত নিয়োগ নিয়ে কিছুদিন আগে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল ওয়েবসাইটে। জানা যাচ্ছে, ২০ জনকে পুরোহিত নিয়োগ করা হবে। আর সেজন্য আবেদন জমা পড়েছে ৩ হাজারেরও বেশি! তবে তাঁরা সকলে নিয়োগ পাবেন না। তার আগে হবে যোগ্যতা যাচাই ও ইন্টারভিউ।
আরও পড়ুন-আশার আলো, আর কয়েক ঘণ্টা
কর্পোরেট অফিসে নিয়োগের মতোই পুরোহিত নিয়োগের প্রক্রিয়া চলবে। আপাতত ঝাড়াই-বাছাই করে তিন হাজারের মধ্যে মাত্র ২০০ প্রার্থী ইন্টারভিউ পর্বের যোগ্যতা অর্জন করেছেন। সব শেষে নিয়োগ করা হবে ২০ জনকে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বাছাই হওয়া ২০০ জন প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া হবে অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদর দফতর ‘করসেবক পুরম’-এ। ইন্টারভিউ বোর্ডে তিনজনের প্যানেল থাকবে, এমনটাই জানিয়েছে ‘রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। তিনজনের ওই প্যানেলে থাকবেন জয়কান্ত মিশ্র, মিথিলেশ নন্দিনী স্মরণ এবং সত্যনারায়ণ দাস। ইন্টারভিউ বোর্ড ২০০ প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনকে বাছাই করবে।
আরও পড়ুন-ধাক্কা খেল এনআইএ, মামলা কাড়ল সুপ্রিম কোর্ট ছত্তিশগড়ে ঝিরাম ঘাটি গণহত্যা
কিন্তু কীসের ভিত্তিতে হবে এই বাছাই? বলা হচ্ছে, পুরোহিত ও মহন্ত পদপ্রার্থীদের ধর্মশাস্ত্রের জ্ঞান, পুজোর আচার বিষয়ক ধারণা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এ সমস্ত কিছুই দেখা হবে। যদিও এই নিয়োগে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বা নেতাদের সুপারিশ যে অন্যতম মাপকাঠি হতে চলেছে তা নিয়ে নিশ্চিত সংশ্লিষ্ট মহল।