সুমন করাতি, হুগলি: আলোর শহর চন্দননগরের আপামর মানুষের মন ভারাক্রান্ত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। কারণ চারদিন মা জগদ্ধাত্রী এখানে কাটিয়ে কৈলাসের পথে যাত্রা করছেন। এখানকার মানুষ অধীর আগ্রহে বছরভর অপেক্ষা করেন হৈমন্তিকা আরাধনার চারটে দিনের জন্য।
আরও পড়ুন-পরিবেশদূষণ রুখতে উদ্যোগী প্রশাসন নাড়া পোড়ানো বন্ধ করতে মাঠে কৃষিকর্তারা ও পুলিশ
পুজোর চারদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় গঙ্গাপাড়ের এই শহরে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিসর্জনপর্ব। মূলত বাড়ির পুজো বিসর্জিত হয়েছে সকালে। নজর কেড়েছিল ভদ্রেশ্বরের গঞ্জের ব্যবসায়ী সমিতির ২১৫ বছরের প্রাচীন পুজো। এই পুজো বরণ করেন পুরুষরা। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় চন্দননগরের বিখ্যাত কার্নিভাল। আলোর জাদুকররা নিজেদের শহরে আলোর জাদু দেখিয়েছেন। মিনিয়েচার আলোয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল কমিক চরিত্র, পশুপাখি, পৌরাণিক কাহিনী, সমকালীন বিষয়বস্তু।
আরও পড়ুন-টোটোয় হনুমানের মৌরসিপাট্টা, নিখরচায় সওয়ারি
শুধু দেশ নয় দেশের বাইরে থেকেও বহু পর্যটক ভিড় জমান। চন্দননগরের বিখ্যাত স্ট্যান্ডে জমায়েত হন বহু বিশিষ্টজন, ছিলেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাগলভির নেতৃত্বে কয়েক হাজার পুলিশ। শোভাযাত্রা সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়েছে আর রাস্তার দু’ধারে দর্শনার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়েছেন। বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত করতে চন্দননগর এবং ভদ্রেশ্বর পুরসভা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল। গঙ্গায় ছিল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের স্পিডবোট। ছিল ড্রোনে নজরদারি।