প্রতিবেদন : অপেক্ষার প্রহর যেন কাটছে না। সিলকিয়ারা নির্মীয়মাণ টানেলে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের খুব কছাকাছি উদ্ধারকারী টিম। বৃহস্পতিবার গভীর রাত অথবা শুক্রবার সকাল হয়ে যেতে পারে উদ্ধারে। জটিল পরিস্থিতিতে খুবই সতর্কতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে উদ্ধার অভিযান এখন একেবারে শেষ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন-হরিয়ানায় ১৪২ ছাত্রীকে যৌননিগ্রহ, গ্রেফতার প্রিন্সিপাল
বুধবার রাতেই জানানো হয়েছিল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে শ্রমিকরা সুড়ঙ্গের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবেন। সেইমতো উৎসুক অপেক্ষা শুরু হয়। তবে বিপজ্জনক ভূতাত্ত্বিক পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবারও ধীরগতিতে কাজ করতে হয়েছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স-এর ডিরেক্টর জেনারেল অতুল কারওয়াল এদিন জানান, উত্তরকাশীর সিলকিয়ারা টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে নিরাপদে বের করে আনার জন্য জন্য একসঙ্গে মাল্টি এজেন্সি অপারেশন চলছে। ডিজি এনডিআরএফ নিজেও পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় বুধবার বেশি রাতে উন্নতমানের অগার মেশিনটি হঠাৎই কাজ বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন-ডিপফেক নিয়ে কড়া আইন হবে জানাল কেন্দ্র
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তা আবার কাজ শুরু করেছে। এনডিআরএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, আমরা অনুমান করছি যে ৬ মিটার ভিতরে ২-৩টি পাইপ পাঠানো হবে। আশা করি, যদি আর কোনও বাধা না আসে, দ্রুত উদ্ধার অভিযান শেষ হবে। আটকে পড়া শ্রমিকদের বেরিয়ে আসার জন্য প্রশস্ত পাইপগুলি ঠেলে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে নিয়ে গিয়ে খনন চালানো হচ্ছে। অগার মেশিন, যা এক ঘণ্টায় প্রায় ৩ মিটার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দিয়ে ড্রিলিং করে, এর আগে একটি ধাতব বস্তুতে বাধা পেয়ে কাজ করা বন্ধ করেছিল। পরে ফের তা সচল হয়।
আরও পড়ুন-মহুয়াকাণ্ডের জের, লগ-ইন আইডি শেয়ার নয়, নির্দেশিকা সংসদে
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সিলকিয়ারা টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে নিরাপদ উদ্ধারের জন্য একযোগে বহু সংস্থা উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। ভারতীয় রেলওয়ে ছ’টি অঞ্চলের সঙ্গে সমন্বয় করে বিরতিহীনভাবে বিশেষ মালবাহী ট্রেন চালাচ্ছে। ওড়িশার সম্বলপুর জংশন থেকে ড্রিলিং সরঞ্জাম নিয়ে আসা হচ্ছে। কর্মীদের উদ্ধারে মোতায়েন রয়েছে এনডিআরএফ টিম। টানেলের ভিতরেও একটি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিন্যালিসাঘরে অবস্থিত সিএইচসিতে ডাক্তারদের একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার করার পরে শ্রমিকদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থাপন করা হয়েছে ৪১ বেডের অস্থায়ী হাসপাতাল। মোতায়ন রয়েছে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি উপস্থিত রয়েছেন ঘটনাস্থলে।