প্রতিবেদন : অত্যাধুনিক যন্ত্র বিগড়ে গিয়েছে। ফলে উত্তরকাশীর (Uttarkashi tunnel) সিল্কিয়ারা নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে এবার খনন হবে ম্যানুয়ালি অর্থাৎ কোদাল, হ্যান্ড ড্রিলিং ইত্যাদির মাধ্যমে। বাইরে থেকে শ্রমিকরা টানেলে ঢুকে কোদাল, হ্যান্ডড্রিল ব্যবহার করে মাটি খুঁড়ে উদ্ধারকাজ চালাবেন। তবে ৯০০ মিলিমিটার পাইপের মধ্যে দিয়ে মাত্র ১ জন শ্রমিক বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে সুড়ঙ্গের ভিতর প্রবেশ করতে পারবেন এবং হাত দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হবে যা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। ফলে ১৪ দিনের অপেক্ষার পর্ব পেরিয়ে কবে উদ্ধার পাবেন ৪১ জন শ্রমিক, তা প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে সুড়ঙ্গের (Uttarkashi tunnel) ভিতরে লোহার পাইপে ধাক্কা লেগে বন্ধ হয়ে যায় অগার মেশিনটি। বড় রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয় ড্রিলিংয়ে ব্যবহৃত অগার মেশিনের ব্লেড। এই বিপত্তির জেরে অগার মেশিনের কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গে আর অগার মেশিন ব্যবহার করা হবে না। এবার ম্যানুয়ালি অর্থাৎ শ্রমিক দিয়েই পাথর-মাটি খনন করা হবে। শনিবার সুড়ঙ্গের ভিতরে খারাপ হয়ে যাওয়া মেশিন টুকরো টুকরো করে কেটে বাইরে বের করে আনা শুরু হয়েছে। সুড়ঙ্গে আটকে যাওয়া অগার মেশিনটি কাটার জন্য হায়দরাবাদ থেকে একটি প্লাজমা কাটার টানেল সাইটে পাঠানো হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে এদিন উদ্ধারকারী দল সিদ্ধান্ত নেয়, ম্যানুয়াল ড্রিলিং করা হবে। এটাই শেষ ভরসা। সুড়ঙ্গে মাত্র ১০ শতাংশ ড্রিলিং বাকি রয়েছে। শ্রমিকরা এই অংশের মাটি কোদাল দিয়ে খনন করবেন। ফলে এটি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। রবিবার থেকে ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু করা হতে পারে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানায়, শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য এখন উল্লম্ব ড্রিলিংয়ে ফোকাস করা হবে।
ম্যানুয়ালি খনন প্রক্রিয়া করা ছাড়াও প্ল্যান বি অনুযায়ী কাজ করারও চেষ্টা চলছে। এতে পাহাড়ের চূড়া থেকে উল্লম্বভাবে খনন করা হবে। পাহাড়চূড়ায় উপকরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে যেখানে মেশিন বসিয়ে ড্রিলিং করা হবে। এই কাজ করবে সতলুজ বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড। তবে নিচের টানেলে শ্রমিক থাকায় এতে বিপদ হতে পারে। নিচে যাওয়ার জন্য উপর থেকে একটা বড় গর্ত করা হবে, তাতে প্রচুর ধ্বংসাবশেষ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে কত সময় লাগবে তাও নিশ্চিত নয়। তবে দুই পদ্ধতিতেই এবার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।