কথা দিয়ে কথা রাখার নাম অভিষেক। ‘কেন্দ্র না দিলে, টাকার ব্যবস্থা করবে তৃণমূল’, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে পুজোর আগের আন্দোলনে সামিল হওয়া ১০০ দিনের (100 days of work) কাজে ‘ভুক্তভোগীদের’ এমনই আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই প্রতিশ্রুতিও পূরণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতদের বাড়িতে আর্থিক সাহায্য পাঠালেন অভিষেক ৷ সঙ্গে একটি চিঠিও। যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১০০ দিনের (100 days of work) কাজ-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতদের এই টাকা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যারা কেন্দ্রের বকেয়ার দাবিতে দিল্লি ও কলকাতায় তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন ইতিমধ্যেই তাঁদের বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে গিয়েছে আর্থিক সাহায্য ও চিঠি।
অভিষেকের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, রাজ্য সরকার কীভাবে বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার কীভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে প্রাপ্য অর্থ বন্ধ করে দিয়ে তাঁদের বঞ্চিত করেছেন। এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের কত টাকা বকেয়া রয়েছে, সেই খতিয়ানও তুলে ধরা হয়েছে।।চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে শুধু এখন নয়, আগামিদিনও তৃণমূল কংগ্রেস একইভাবে এই বঞ্চিত মানুষদের পাশে থাকবে । তাদের অধিকারের দাবি নিয়ে লড়াই করবে।
আরও পড়ুন- রান্নার গ্যাসে বায়োমেট্রিক, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা
দলীয় জনপ্রতিনিধিদের মারফত সরাসরি বঞ্চিত ও ভুক্তভোগী মানুষের বাড়িতে চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন জনপ্রতিনিধিরা। এই চিঠিতে অভিষেকের বার্তা, “গত ৩ অক্টোবর আমি ঘোষণা করেছিলাম যে সকল জব কার্ড হোল্ডার আমাদের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন, এমনকী কেন্দ্র রেল বাতিল করলেও কষ্ট করে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে বাসেও গিয়েছেন, তাঁদের যদি কেন্দ্র নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না মেটায়, আমরা তাঁদের প্রাপ্যের টাকা দিয়ে পাশে দাঁড়াব। সেই সূত্রেই আজকের এই চিঠি। প্রতিশ্রুতিমত আর্থিক সাহায্য পাঠালাম। সপরিবারে ভালো থাকুন। আগামিদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য তৈরি হোন।”
উল্লেখ্য, পুজোর আগে ১০০দিনের কাজের বকেয়া, আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ নিয়ে দিল্লি অভিযান করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ যার নেতৃত্বে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে ফিরে এই দাবিকে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজভবনের বাইরেও ধরনা দেন তিনি। একইসঙ্গে তৃণমূল প্রত্যেক ব্লক স্তরেই এই বঞ্চিত মানুষের বেতন তথা অধিকারের দাবি নিয়ে সরব হয়েছে, তা নিয়ে মিটিং মিছিলও করেছে।