প্রতিবেদন : অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার ও তার দরুন রোগীর শরীরে তৈরি হওয়া নানা সমস্যার জেরে রাজ্য সরকার ওই ধরনের ওষুধ বিক্রি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধের দোকানে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কড়া নজর রাখবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কৃষি, পোলট্রি, মৎস্য পালনেও যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার বন্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-মোয়া শিল্পে গতি আনতে কৃষি বিভাগের উদ্যোগ, জয়নগরে শুরু কনকচূড় ধানের চাষ
সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এই নিয়ে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর, মৎস্য দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে। দফতরের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির সদস্যরাও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কৃষিক্ষেত্র, মৎস্য চাষ, পোলট্রি ফার্মে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার রুখতেও একটি কমিটি গঠন করা হবে। গ্রামাঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হবে। প্রতি মাসে পর্যালোচনা করে এ-বিষয়ে অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি নিজেদের কাজকর্ম সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করবে।
আরও পড়ুন-সীমান্তবর্তী গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০ শয্যার অন্তঃবিভাগ
অ্যান্টিবায়োটিকের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার নিয়ে কিছুদিন ধরেই নিজেদের উদ্বেগের কথা জানাচ্ছিল চিকিত্সক মহল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্য দফতরকে বিষয়টি দেখতে বলেন। বিভিন্ন জায়গায় কিছু রোগীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাক্টিরিয়া বাসা বেঁধেছে। ফলে সংক্রমণ কমাতে উচ্চমাত্রার বা খুব দামি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়েছে। সম্প্রতি অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করতে সচেতনতা সপ্তাহ পালন করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার জনস্বার্থে এ-নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকারও।