প্রতিবেদন : গ্রামের স্কুলে চাকরি নিতে অনীহা। শিক্ষকতা করতে গ্রামে যেতে গেলেই হবু শিক্ষকরা নাক সিঁটকান। কিন্তু রাজ্য এবার গ্রামে চাকরির অনীহা কাটাতে কড়া ব্যবস্থার পথে হাঁটছে। গ্রামে শিক্ষকতা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে রাজ্য। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, আমরা গ্রামে শিক্ষকতা বাধ্যতামূলক করব এবং অবিলম্বে তা কার্যকর করব। গ্রামে হবু শিক্ষকরা শিক্ষকতা করাতে যেতে চাইছেন না, এটা একেবারেই ঠিক নয়।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আসরে স্বাস্থ্য দফতর, অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শহর ও গ্রামের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে চাই। তাই গ্রামে যে হবু শিক্ষকরা শিক্ষকতা করাতে যেতে চাইছেন না, গোটা বিষয়টি শিক্ষা দফতর গুরুত্ব সহকারে দেখছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে যোগ দেওয়ার পরেও গ্রামে স্কুল শিক্ষকতার চাকরি নিতে অনীহা প্রকাশ করেন অনেকে। এরপরই বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন-মোয়া শিল্পে গতি আনতে কৃষি বিভাগের উদ্যোগ, জয়নগরে শুরু কনকচূড় ধানের চাষ
সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার মতো প্রান্তিক জেলাগুলিতে চাকরি নিতে চাইছেন না হবু শিক্ষকরা। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায় শিক্ষামহলে। উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিলেও প্রান্তিক জেলায় চাকরি নিতে অস্বীকার করেন কিছু প্রার্থী। তবে বৈঠকে সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।