তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে ঢুকে গোলমাল! এমনকী, বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় কুৎসিত স্লোগান দেন। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগে বিজেপির ১১ জন বিধায়কের (11 BJP MLA) বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৫০৪ এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগে বুধবার সন্ধেতেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানান তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার রায়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও এই তৃণমূলের তরফে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরই এফআইআর রুজু করল পুলিশ।
বুধবার, তৃণমূলের ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যেই বিধানসভা চত্বরে গোলমাল বাধান বিজেপি বিধায়করা। শুধু তাই নয়, কর্মসূচির শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়করা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন সেই সময় বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে ‘কুৎসিত’ চিৎকার করে স্লোগান দেন বিরোধী দলনেতা-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। এই ঘটনা জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা। অভিযোগ তুলে বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বৈঠক করেন পরিশোধীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-সহ মন্ত্রিসভার বর্ষীয়ান সদস্য, ডিসি সেন্ট্রাল-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এরপরেই জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- শাহের সুপার ফ্লপ শোয়ের ব্যর্থতা ঢাকতেই রাজ্যজুড়ে সিবিআই অভিযান
বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও তাপস রায়। তাঁদের মতে, এটা শুধু তৃণমূলের ঘোষিত কর্মসূচিতে বাধা দান নয়, এটা জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা বিধানসভা চত্বরে এ ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা নিয়ে স্পিকারকে চিঠিও দেন তৃণমূলের পরিষদীয় দল। স্পিকার সেটি গ্রহণ করেছেন। স্পিকার জানান, “তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে আমার কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিনা অনুমতিতে প্ররোচনা মূলক সভা এবং জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা হয়েছে। সেই অভিযোগ আমি গ্রহণ করেছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ ওঠার পরেই বিধানসভায় আসেন ডিসি সেন্ট্রাল দীনেশ কুমার এসে দেখা করেন স্পিকারের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বুধবার রাতেই ১১ বিজেপি বিধায়কের (11 BJP MLA) বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে থানায়। সূত্রের খবর এফআইআর-এ নাম রয়েছে শংকর ঘোষ, মনোজ টিগ্গা-সহ ১১ বিধায়কের। তৃণমূলের ধর্নায় জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে তাঁরা শুনতেই পাননি বলে সাফাই দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে, বিজেপির এই আচরণের তীব্র নিন্দা করে তৃণমূলের মত, আইন আইনের পথে চলবে।