প্রতিবেদন : বিজেপির ফ্লপ সভা থেকে নজর ঘোরাতেই বৃহস্পিতবার সাত সকালে সিবিআইকে (CBI investigation) মাঠে নামানো হয়েছে। ফের তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কুৎসা ও ষড়যন্ত্রের চিত্রনাট্য তৈরি করেই মাঠে নামানো হয়েছে এজেন্সিকে। ঠিক এইভাবেই এদিনের এজেন্সি হানার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ বৃহস্পিতবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে ধুইয়ে দেন বিধানসভায় তৃণমূলের ডেপুটি চিফ-হুইফ তাপস রায় ও দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। দলের সাফ বক্তব্য, দেশে খবর রয়ে গিয়েছে বুধবার অমিত শাহর কলকাতার সভা সুপার ফ্লপ। তাই মুখরক্ষা করতেই এদিন সকাল থেকে তৃণমূলের গায়ে কালি ছেঁটাতে নামানো হয়েছে সিবিআইকে। তাপস রায় বলেন, বাংলার মানুষের জবাব ওরা পেয়ে গিয়েছে। বাংলা ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আসলে ধর্মতলার ওই জায়গাটাই ওরা ভুল বেছে ছিল। ওটা ঐতিহাসিকভাবে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভার জায়গা। সেখানে বাংলার মানুষ আর কোনও রাজনৈতিক দলকে দেখতে চায় না।
২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ মঞ্চের পিছনে যে লোক থাকে, বিজেপির সামগ্রিক জমায়েতেও সেটুকু ছিল না। আর এই ফ্লপ শোয়ের ব্যর্থতা ঢাকতেই বৃহস্পতিবার সাতসকালে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লেলিয়ে দিয়েছে বিজেপি। বক্তব্য কুণাল ঘোষের। তাঁর সংযোজন, সুপার ফ্লপ সভা থেকে নজর ঘোরাতে অমিত শাহ চলে যাওয়ার পরের দিনেই সিবিআই মাঠে নেমেছে। বাংলার মানুষ বিজেপিকে আরও একবার প্রত্যাখ্যান করে বুঝিয়ে দিয়েছে এই বাংলায় ওদের ঠাঁই নেই।
এদিন সকাল থেকে কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে তল্লাশি (CBI investigation) চালায় তদন্তকারীরা। এদিকে, সিবিআই হানা দেয় বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর দুটি বাড়ি ও তাঁর স্ত্রী অদিতি মুন্সির গানের স্কুলেও। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গাতেও হানা দিয়েছে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশাপাশি জেলায় মোট চার জায়গায় সিবিআই তল্লাশি শুরু করেছে। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার কুলিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়ি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় সিবিআইকে। তবে জফিকুলের বাড়ি থেকে যে টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই টাকার উৎস এবং তা আইনি নাকি বেআইনি পথে রোজগার হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে তার আগে কাউকে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। বক্তব্য কুণাল ঘোষের।
আরও পড়ুন-জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বকেয়া নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে