কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়েই খারিজ করে দেওয়া হল মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ। অধ্যক্ষ সাংসদ খারিজের বিষয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাব পাশ করান লোকসভায়। বহিষ্কারের পর সংসদের বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। বলেন,নারীবিদ্বেষী মনোভাবের প্রকাশ বিজেপি সরকারের। কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়েই একতরফা বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত। কালই হয়তো বাড়িতে সিবিআই যাবে, আশঙ্কা মহুয়ার।
আজ দুপুর ১২টায় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করেন লোকসভার এথিক্স কমিটির প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ বিজয় সোনকার। জল্পনা মতোই ওই রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও রিপোর্টটি পেশের পরই চূড়ান্ত হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। যার জেরে অধিবেশন দুপুর দুটো পর্যন্ত মূলতুবি করে দিতে হয়। তবে অধিবেশন ফের শুরু হতেই মহুয়া ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্পিকার। বলে দেন, সংসদের মর্যাদাহানি হোক, এমন কোনও বিষয়ই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একইসঙ্গে এনিয়ে আলোচনার জন্য আধঘণ্টা সময় বেধে দেন ওম বিড়লা। মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দিলেন না স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি জানান, মহুয়া আগে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। তাই আবার তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে না। পুরনো উদাহরণ টেনে এই যুক্তি দিয়েছেন স্পিকার। মহুয়া বলার জন্য একাধিক বার উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ৫ বছরে বিদেশে পড়তে গিয়ে মৃত্যু ৪০৩ ভারতীয় পড়ুয়ার, শীর্ষে কানাডা
তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তৃণমূলের তরফে তিনি কথা বলবেন না। কথা বলবেন মহুয়া নিজে।কিন্তু স্পিকার সেই কথায় কর্ণপাত করেননি। সুদীপ দুদিন সময় চান রিপোর্ট পড়ার জন্য। কারণ, তার যুক্তি ৪৫৫ পাতার রিপোর্ট আধ ঘণ্টার মধ্যে পড়ে ফেলা সম্ভব নয়। কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি বলেন, ‘‘১২টায় রিপোর্ট পেশ করে ২টোয় তা নিয়ে আলোচনা স্বাভাবিক নয়। তিন-চার দিন রিপোর্ট পড়ার জন্য সময় দিলে পৃথিবী উল্টে যাবে না। বিচারব্যবস্থার সাধারণ নিয়ম এখানে মানা হচ্ছে না। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে কথাই বলতে দেওয়া হচ্ছে না। তা ছাড়া, এথিক্স কমিটি শুধু সুপারিশ করতে পারে। কী সাজা হবে, তা তারা ঠিক করে দিতে পারে না।’’
লোকসভায় স্পিকারের উদ্দেশে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘এত বড় চিঠি এত কম সময়ে পড়া সম্ভব নয়। ভাল করে পড়ে এটা নিয়ে চর্চা করা উচিত। আদালতেও কারও সাজা হলে বিচারক আসামির বক্তব্য শোনেন। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তাঁকে বলার সুযোগ দেওয়া উচিত।