“আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর লড়াই করব। আমি ফিরব। শেষ দেখে ছাড়ব।” একতরফা বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে এইভাবে ক্ষোভ উগরে দিলেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন মহুয়া বললেন, ”২ জন নাগরিকের লিখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত। আমার বিরুদ্ধে টাকা বা উপহার নেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। আমি নিশ্চিত, কালই বাড়িতে সিবিআই আসবে। আগামী ৬ মাস ধরে হেনস্থা করবে”।
পার্লামেন্টের বাইরে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে কবি সুকান্তকে উদ্ধৃত করে “দেখে নেওয়ার” বার্তা দিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। সুর সপ্তমে চড়িয়ে বললেন,”আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই, স্বজন হারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই।” মহুয়ার অভিযোগ, এই নীতি কমিটির আসলে কোনও নীতিই নেই।
আরও পড়ুন- বিজেপির আচরণ প্রতিহিংসামূলক, সাংসদ পদ খারিজে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে তোপ দাগলেন দলনেত্রী
মহুয়ার (Mahua Moitra) কথায়, “এমন দু’জনের বয়ানের ভিত্তিতে তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হল, যাঁরা পরস্পরবিরোধী কথা বলেছেন। এদের মধ্যে একজন তাঁর প্রাক্তন সঙ্গী, যিনি প্রতিশোধস্পৃহা থেকে মনগড়া অভিযোগ তুলে গিয়েছেন। অন্যজন ব্যবসায়ী, যাঁকে জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি। এথিক্স কমিটি ক্যাশ ফর কোশ্চেনের অভিযোগ তুলছে। অথচ, কোথাও কোনও ক্যাশের লেনদেনের প্রমাণ মেলেনি। আমাকে বলা হয়েছে, আমি লোকসভার লগ ইন আইডি ব্যবসায়ীকে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সংসদের নিয়মে কোথাও লেখা নেই যে এটা অনৈতিক।
এদিন সাংসদ পদ খোয়ানোর পর মোদি-আদানি রসায়ন নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মহুয়া। তাঁর দাবি, “রমেশ বিধুরী সংসদে দাঁড়িয়ে দানিশ আলীকে অপমান করেছেন, যিনি সংসদে ২৬ জন মুসলিম সাংসদের একজন। ২০ কোটি মুসলমানের দেশে, বিজেপির ৩০৩ জন সাংসদ রয়েছে কিন্তু একজন মুসলিমকে সংসদে পাঠায়নি। রমেশ বিধুরি দানিশ আলীকে অশ্লীল শব্দে ডাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” তিনি আরও বলেন,”আদানিকে বাঁচানোর জন্য মোদি সরকার কতদূর যেতে পারে, তা আজ গোটা দেশ তা বুঝে গেল। আদানি মোদির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল। কাল হয়তো আমার বাড়িতে সিবিআই পাঠানো হবে। হয়তো আগামী ৬ মাস আমাকে হেনস্থা করা হবে। কিন্তু আমি প্রশ্ন করবই।”