* এথিক্স কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ার পর মাত্র দু’ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে পড়ার জন্য। এটা অন্যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে।
* কোনও সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। এখানে মহুয়াকে বলতে দেওয়া হয়নি।
* দর্শন হিরানান্দানি, জয় আনন্দ দেহাদ্রাই, নিশিকান্ত দুবে, যে তিনজনের অভিযোগ, তাঁদের প্রত্যেককেই ক্রস এগজামিন করতে হবে।
আরও পড়ুন-বিশ্বের সেরা ২৪ শহরের তালিকায় এবার কলকাতা
* আমরা একজন মানুষের মৌলিক অধিকার নির্ধারণ করছি আর নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত সাংবিধানিক বডির মতো আচরণ করছি।
* অভিযুক্ত ব্যক্তির কথা শোনা হলে তবেই সেটা স্বচ্ছ বিচার হত। এখানে স্বচ্ছ বিচার হয়নি, অভিযুক্তের কথাই শোনা হয়নি। যে ১০ জনের কথা বলা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ভিডিও ফুটেজে টাকা নেওয়ার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। এক্ষেত্রে এসব কিছুই নেই।
* রিপোর্টে বলা হয়েছে, টাকা নেওয়ার বিষয় প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু কোথায় সেই টাকা? কোথায় প্রমাণ? কোথায় তথ্য?
* যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং যাঁরা অভিযোগ তুলেছেন তাঁদের বয়ান শোনা আইনের মৌলিক নীতির মধ্যে পড়ে।
* দর্শন যে হলফনামা জমা দিয়েছে, কমিটি সেই হলফনামা রিপোর্টে রাখেনি। সভায় পেশও করা হয়নি। ব্যক্তি নিজে এসে না বললে কোনও হলফনামা গ্রাহ্য করা যায় না।
* মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়নি, স্বচ্ছ তদন্ত হয়নি।
* অভিযোগকারীদের সঠিক জেরাও হয়নি।
* সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ে বলা আছে, অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়া হলে সেটা সংবিধান ও আইনশৃঙ্খলার উলঙ্ঘন।
আরও পড়ুন-৫ বছরে বিদেশে পড়তে গিয়ে মৃত্যু ৪০৩ ভারতীয় পড়ুয়ার, শীর্ষে কানাডা
* সাংসদ হিসেবে মহুয়ার অধিকার রয়েছে সাংবিধানের ১৪ নং অনুচ্ছেদে। এথিক্স কমিটি সেই অধিকারকে লঙ্ঘন করেছে।
* কোনও সদস্যকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা নেই এই সংসদ কক্ষের। কোনও সাংসদকে বরখাস্ত করতে পারে না সংসদ।
* সংসদীয় পদ্ধতি মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই মিডিয়ায় বেরিয়ে গিয়েছে মহুয়াকে বহিস্কারের খবর। দুঃখজনক।