মহুয়ার পাশে দাঁড়ানোর শাস্তি

দানিশ আলিকে সাসপেন্ড করে মায়াবতী বোঝালেন তিনি 'বিজেপির বন্ধু'

Must read

প্রতিবেদন : মায়াবতীর রাজনৈতিক মুখোশ খুলে গেল। মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) ইস্যুতে দলীয় সাংসদ দানিশ আলিকে সাসপেন্ড করে মায়াবতী স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিলেন তিনি বিজেপিরই বন্ধু। দুর্নীতির তদন্তের ভয়ে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই চলছেন তিনি।
শুরু থেকেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি। এমনকী সংসদে তাঁর জাত-ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। এসব নিয়ে অবশ্য একটি শব্দও খরচ করতে দেখা যায়নি মায়াবতীকে। তবে প্রকাশ্যে বিজেপি বিরোধিতা ও ইন্ডিয়া জোটের পাশে দাঁড়ানোয় মায়াবতীর রোষের মুখে পড়লেন দানিশ। দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিজেপি বিরোধী মুখ হয়ে ওঠায় মায়াবতীর রোষের মুখে পড়লেন দানিশ?
প্রকাশ্যে না হলেও জাতীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই কানাঘুষো, তলে তলে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বিএসপির। রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপির সুবিধা করে দিতে ভোট কাটুয়া হিসেবে বিএসপিকে ব্যবহার করে বিজেপি। তবে বর্তমানে খাতায় কলমে বিএসপির দলীয় নীতি কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব। ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও দূরত্ব বজায় রেখেছেন মায়াবতী। তবে দলের সাংসদের এমন ইন্ডিয়া জোটের ঘনিষ্ঠতা ভালভাবে নিল না দল। জানা যাচ্ছে, মহুয়ার পাশে দাঁড়ানো ও কংগ্রেস ঘনিষ্ঠতার অভিযোগেই দানিশকে সাসপেন্ড করেছেন মায়াবতী। বিএসপির সাধারণ সম্পাদক সতীশ মিশ্র দানিশকে চিঠি দিয়ে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে আমরোহার সাংসদ আপাতত দলহীন। এদিকে দানিশ আলিকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় জাতীয় রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মহুয়া ইস্যুতে সরকার বিরোধিতা ও বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির বিরুদ্ধে দানিশের তৎপর হওয়া রীতিমতো অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল বিজেপির জন্য, যার জেরে চাপ বাড়ে মায়াবতীর উপর।
সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দানিশ আলি রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেন দেবেগৌড়ার দল জেডি(এস) থেকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে দেবেগৌড়ার সম্মতিক্রমেই উত্তরপ্রদেশের আমরোহা থেকে বিএসপির টিকিটে ভোটে লড়েন দানিশ। বিজেপির প্রবল হাওয়ার মধ্যেও তিনি ওই মুসলিম অধ্যুষিত আসনটি জেতেন ৬৩ হাজার ভোটে। সেবার সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট ছিল বিএসপির। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, বিএসপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কংগ্রেসে বা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে পারেন।

আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, সোমবার রায় সুপ্রিম কোর্টে

Latest article