প্রতিবেদন : মানবিকতার খাতিরে শনিবার চাকরিপ্রার্থীদের ধরনামঞ্চে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। চাকরির দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুণাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও চান ছেলেমেয়েরা চাকরি পাক। আমরা সবাই চাই চাকরি হোক। একটা জট হয়ে আছে। ক্রমশ তা খোলার দিকে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি এই জট খুলবে। এদিন ধরনামঞ্চ থেকেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কুণাল। চাকরিপ্রার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে চান। ঠিক হয়েছে সোমবার দুপুর ৩টেয় শিক্ষা দফতরে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই সমস্ত জটিলতার কথা তিনি শুনবেন। এদিন কুণাল যখন ধরনামঞ্চে সেই সময়ই সিপিএমের বিমান বসুও হাজির হন সেখানে।
আরও পড়ুন-বিরাট দু.র্নীতি, মোদির জনধন যোজনায় নেই ১০ কোটি অ্যাকাউন্ট
চাকরিপ্রার্থীরা সরাসরি জানিয়ে দেন তাঁরা বিমান বসুর সঙ্গে কথা বলবেন না। তাঁরা কুণাল ঘোষের সঙ্গে কথা বলতে চান। সেই মতো ধরনামঞ্চে বসেই চাকরিপ্রার্থীদের দাবি-দাওয়া শোনেন কুণাল। তাঁর কথায় এদের কয়েক জনের সঙ্গে আমার ১২ মাসের যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। ওদের কয়েকজন আমার কাছে প্রায়ই যায়। আজ যখন দেখলাম তাদের মধ্যেই একটি মেয়ে মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ করছে, দেখে খারাপ লাগল। তাই সম্পূর্ণ মানবিকতার খাতিরে ওদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। কিন্তু বিরোধীরা ওদের সামনে রেখে উদ্দাম নৃত্য করছে। কুণালের সংযোজন, ওরা আমাকে বারবার আমন্ত্রণ করেছে। কিন্তু আমি নিজেই এখানে আসতে চাইনি। আমি এই মঞ্চটাকে রাজনীতির মঞ্চ বানাতে চাইনি। একটা আকশির মতো ছোট জটিলতায় গোটা বিষয়টি আটকে আছে। খুব তাড়াতাড়ি এই জট খুলবে। আজ ওদের প্রতিবাদ দেখে মানবিক কারণেই এসেছি। এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্য ও উপযুক্ত। এর মধ্যে আদালতও যুক্ত। আইনি দিক-সহ সবটা দেখেই জট খোলার ব্যবস্থা হচ্ছে।